কৃতি শোনালেন স্কুলে ফিরে যাওয়ার গল্প
Published: 12th, April 2025 GMT
যে স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি বড় কিছু হয়ে ওঠার স্বপ্ন রচনা করেছেন, সেখানেই পুনরায় ফিরে যেতে হয়েছে কৃতি শ্যাননকে। মাঝে কেটে গেছে পনের বছর। এই দীর্ঘ সময়ে পৃথিবীর রূপরেখা যেমন বদলেছে, তেমনি বদলেছে কৃতির পরিচয়। এখন তিনি বলিউড সিনেমার শীর্ষ অভিনেত্রীদের একজন। তারপরও সেই পরিচয় মুহূর্তেই ভুলে গিয়েছিলেন আরকে পুরমের দিল্লি পাবলিক স্কুল প্রাঙ্গণে পা রাখার পর। কৈশোরকেই নতুন করে ফিরে পেয়েছিলেন এই বিদ্যাপীঠে যাওয়ার পর। স্কুলে ফিরে যাওয়ার সেই গল্পই এবার অনুরাগীদের কাছে নতুন করে তুলে ধরেছেন এই বলিউড অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ‘ভেড়িয়া’ সিনেমার প্রচারের জন্য ১৫ বছর পর তার নিজের জন্য স্কুলে ফিরে গিয়েছিলেন কৃতি শ্যানন। সেখানে গিয়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘স্কুলে ফিরে! ১৫ বছর পর!!’ আরও লিখেছিলেন ‘‘ভেড়িয়া’ সিনেমার প্রচারের জন্য আমার স্কুলে ফিরে আসতে পেরে গর্বিত অনুভূতি!! নস্টালজিক!’
কৃতির কথায়, ‘দিল্লি পাবলিক স্কুল আর.
প্রসঙ্গত স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর, কৃতি নয়ডার জেপি ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিতে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি শুরু করেন মডেলিং। আর মডেলিংয়ের সূত্র ধরে সুযোগ পান অভিনয় জগতে পা রাখার। অনিন্দ্য অভিনয় দিয়ে দর্শক হৃদয়ে জয় করতেও সময় লাগেনি কৃতির। এরই মধ্যে বলিউড সিনেমায় নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন। অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। শিগগিরই এই অভিনেত্রীকে দেখা যাবে ‘কিলবিল’ সিনেমার রিমেকসহ ‘হাউজফুল-৫’ ও ‘তেরে ইশক মে’ সিনেমায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ত শ য নন
এছাড়াও পড়ুন:
পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা
কিশোরগঞ্জ শহরের আলোচিত পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে আছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। সর্বশেষ শনিবার দান বাক্সের টাকা রূপালী ব্যাংকে জমার পর পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিাটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রতি তিন মাস বা তার কিছু বেশি সময় পরপর মসজিদের দান বাক্সগুলো খোলা হয়। তাতে প্রতিবারই কয়েক কোটি টাকা পাওয়া যায়। সর্বশেষ শনিবার ১১টি দান বাক্স খুলে মিলেছে ২৮ বস্তা টাকা। গণনা শেষে পাওয়া গেছে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। পাওয়া গেছে বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।
সেনা সদস্য, পুলিশ ও আনসারের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মিলে মোট ৩৯৪ জন মানুষ টাকা গণনায় অংশ নেন। সব টাকা রূপালী ব্যাংকের হিসাবে জমা করা হয়েছে। বিদেশি মুদ্রা আর অলংকারের মূল্য নির্ধারণ করে সেসব টাকাও ব্যাংকে রাখা হবে।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেছেন, দান বাক্সে পাওয়া টাকার লভ্যাংশ থেকে অসহায় জটিল রোগীদের অনুদান দেওয়া হয়। মসজিদ কমপ্লেক্স মাদ্রাসার এতিম ছাত্রের সব খরচ, আনসার সদস্যদের বেতনসহ মসজিদ পরিচালনার যাবতীয় খরচও মেটানো হয়। জমানো টাকা থেকে পুরুষ ও মহিলাদের নামাজের আরও দুটি শেড নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একটি আধুনিক পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। ৬ তলা বিশিষ্ট নতুন মসজিদ কমপ্লেক্সে একসঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। ৫ হাজার নারী মুসল্লির জন্যও পৃথক ব্যবস্থা থাকবে।
কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম দিকে নরসুন্দা নদীর দক্ষিণ তীরে হারুয়া এলাকায় প্রায় পৌনে দুইশ’ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ১৯৭৯ সাল থেকে। তখন থেকে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হন। সাধারণত পৌর মেয়ররা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।