অবৈধ বেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার দি মারিয়া ও পারেদেসের
Published: 12th, April 2025 GMT
ইতালিয়ান সিরি আ–তে অবৈধ বেটিংয়ের তদন্তে অভিযুক্ত হিসেবে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী আনহেল দি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেসের নাম উঠে এসেছে। তাঁদের পাশাপাশি অতীত ও বর্তমানের আরও ১০ জন খেলোয়াড় অভিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু দি মারিয়া ও পারেদেস অবৈধ বেটিংয়ের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন।
ইতালির সংবাদমাধ্যম কোরিয়েরে দেয়া সেরা জানিয়েছে, গত বছর বেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্ত ও শাস্তি পাওয়া ফুটবলার সান্দ্রো তোনাল্লি ও নিকোলো ফাগিওলির ফোন যাচাই করে দেশটির বিচারক অ্যাথলেটদের একটি নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করেছেন, যারা নিয়মের বাইরে বিভিন্নভাবে নিয়মিতই বেটিং করেছে।
তোনাল্লি এসি মিলানের সাবেক মিডফিল্ডার। এখন খেলছেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডে। গত বছর বেটিংয়ের প্রতি নিজের আসক্তির কথা স্বীকার করেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার এবং সে জন্য ১০ মাস নিষিদ্ধও হন। ফাগিওলি জুভেন্টাস থেকে ফিওরেন্তিনায় এখন ধারে খেলছেন। বেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় গত বছর সাত মাস নিষিদ্ধ হওয়া ফাগিওলি জুভেন্টাসে দি মারিয়া ও পারেদেসের সতীর্থ ছিলেন।
বেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অস্বীকার করেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী উইঙ্গার দি মারিয়া। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখলেও বেনফিকার হয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া এই তারকা নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট করতে চাই, আমি কখনো কোনো রকম অবৈধ বেটিং করিনি।’ রোমার ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার পারেদেসও নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট করতে চাই, আমি কখনো কোনো ধরনের অবৈধ বেটিং করিনি এবং এর সঙ্গে নিজেকে জড়াইনি।’
জুৃভেন্টাসে সতীর্থ ছিলেন দি মারিয়া ও পারেদেস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনা আলমকে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা ঠিক হয়নি: আইন উপদেষ্টা
মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তবে যে প্রক্রিয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা ঠিক হয়নি বলে জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। রোববার সমসাময়িক ইস্যুতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮৮ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছে। সেজন্য একটা রিভিউ কমিটি করা হয়েছে। যেখানে তিনি (আইন উপদেষ্টা) রয়েছেন। চুরি যাওয়া ৬৬ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার হয়েছে। বাকিটাও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, মূলত ২ বিলিয়ন ডলার চুরির পরিকল্পনা ছিল। আসলে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। যারা এর সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।ও২
টাকা চুরির ঘটনায় সঠিক আইনগত বিষয় খতিয়ে দেখতে ডক্টর কামাল হোসেন কাজ করবেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে জানা যাবে। এ পর্যন্ত ৭ হাজার ১৮৪টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মাগুরার আছিয়ার মামলার চার্জশিট প্রস্তুত হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আজকেই আদালতে দাখিল হবে চার্জশিট। এই বিচার অতি দ্রুত সময়ে শেষ করা হবে।