ঢালিউডে সুবাতাস বইছে। বিভিন্ন ঘরানার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে এই ঈদে। এবার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শবনম বুবলী-সিয়াম আহমেদ অভিনীত সিনেমা ‘জংলি’। মুক্তির প্রথম দিন থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে এই সিনেমার সাতটি করে প্রদর্শনী ছিল। এরপর নানা নাটকীয়তা। দর্শক আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও সিনেমাটির প্রদর্শনী কমিয়ে দেওয়া হয়। আবার বাড়ানোও হয়। স্টার সিনেপ্লেক্সে এখন সিনেমাটির ১৪টি করে প্রদর্শনী চলছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ‘জংলি’ সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান। এদিকে জংলি সিনেমার নায়িকা বুবলী বরবাদকেও এগিয়ে রেখেছেন। শাকিবিয়ানদের প্রশংসা করেছেন এই নায়িকা। আর বরবাদকে তুলনা করেছেন ঝড়ের সাথে।
সম্প্রতি বুবলী বলেন, ‘‘বরবাদ হলো একটি ঝড়ের নাম। সে ঝড় বইছে। আরও অনেক দিন যাবে। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক পজেটিভ। বরবাদে আছে আমাদের সবার প্রিয় মেগাস্টার শাকিব খান। তিনি খুবই ভালো অভিনেতা। যিনি দিনের পর দিন নিজেকে ভিন্নভাবে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করছে। এবং দর্শক উনাকে সেভাবে ভালোবাসা দিয়ে একসেপ্ট করছে।’’
তবে এখনও বরবাদ সিনেমা দেখেননি বুবলী। তিনি বলেন, ‘‘এখনতো পারিবারিক সময় যাচ্ছে, অর্থাৎ ‘জংলি’ নিয়ে সময় যাচ্ছে। ‘বরবাদ’ দেখবো অবশ্যই। ‘বরবাদ’ যেহেতু বিগ বাজেটের একটি সিনেমা এটা সাপোর্ট করা আমাদের সবার উচিত। আমাদের ‘জংলি’ যেমন একটা অন্য ঘরানার সিনেমা এবং‘ বরবাদ’ও অন্য রকম। সুতরাং আমার মনে হয় সবকিছু মিলেমিশে একাকার। শাকিবের যারা ভক্ত তারা বরবাদকে যেমন আপন করে নিয়েছেন, জংলিকেও আপন করে নিয়েছেন। এটাইতো হওয়া উচিত। শাকিবিয়ানরা সবার মুভি দেখুক, এটা আমরা চাই। ’’
আরো পড়ুন:
‘সাপোর্ট’ চাইলেন ‘বরবাদ’ এর প্রযোজক
‘বরবাদ’ এবং ‘জংলি’ নিয়ে যা বললেন তমা মির্জা
এই নায়িকা আরও উল্লেখ করেন, যারা বুবলী ভক্ত, সিয়াম ভক্ত তারাও বরবাদ দেখছেন।
উল্লেখ্য, এসকে মুভিস এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানানো হয়েছে, ‘বরবাদ’ মুক্তির ১২তম দিনে এসে (শুক্রবার) সারাদেশের ১২১টি সিনেমা হলে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ে রীতিমতো স্টেডিয়ামে পরিণত হয়েছে! সিনেপ্লেক্স, মাল্টিপ্লেক্স হাউজফুলের সাথে সাথে সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে বিকেল ও সন্ধ্যার শো-তে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না! মাল্টিপ্লেক্সসহ একাধিক সিঙ্গেল স্ক্রিনে মিড নাইট শো চলছে, চলবে!
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র বরব দ
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে এক কার্ডেই মিলবে সব সেবা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরকে স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এ কার্ড বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
এতে একটি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী বিভাগ, হল, লাইব্রেবি, মেডিকেল সেন্টারসহ প্রয়োজনীয় সব সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালকের কক্ষে অনুষ্ঠিত স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
দুর্বৃত্তদের কবলে ইবি ছাত্রী, ইজিবাইকসহ মালামাল ছিনতাই
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ইবিতে শাটডাউন কর্মসূচি
সভায় স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে সভায় অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মনজুরুল।
এ সময় স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত কমিটির সদস্য ও ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, কমিটির সদস্য-সচিব ও আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ আব্দুস সাকির মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিস্টেম অ্যানালিস্ট নাঈম মোরশেদের সঞ্চালনায় কমিটির সদস্য-সচিব একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন এবং এ প্রযুক্তির টেকনিক্যাল ও এপ্লিকেশন বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়াও আইসিটি সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হাফিজুর রহমান লাইব্রেরিতে বর্তমান অটোমেশন সিস্টেম বিষয়ে ডেমোস্ট্রেশন প্রেজেন্ট করেন। আরএফআইডি কার্ড ব্যবহার করে কিভাবে এই সিস্টেমকে আরো উন্নত করা যায়, সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
আইসিটির সেলের পরিচালক ও স্মার্ট আইডি (আরএফআইডি) কার্ড প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী বলেন, “অটোমেশন এবং প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে আরএফআইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এই কার্ড বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।”
তিনি বলেন, “প্রত্যেক শিক্ষার্থীর একটা ইউনিক আইডি নাম্বার থাকবে, যেটা সে সব জায়গায় ব্যবহার করতে পারবে। একটা কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী বিভাগ, হল, লাইব্রেরি, মেডিকেল সেন্টারসহ সব জায়গায় প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবে। আলাদা-আলাদা কার্ড লাগবে না। ভবিষ্যতে এটি উন্নত করে ক্যাশলেস ব্যবস্থায় ফি প্রদানের সঙ্গে এটাকে যুক্ত করা সম্ভব হতে পারে।”
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আরএফআইডি কার্ড বিষয়ে কমিটির সদস্যদের দিকনির্দেশনামূলক বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী