গোপালগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় তামিম মোল্যা (৩৪) নামে ইজিবাইকের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ৫ জন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর উপজেলার ভেড়ারবাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তামিম মোল্যা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মোল্যার ছেলে।

মারাত্মক আহত অটোচালক রিপন মোল্লা (৪৫), নরেশ বিশ্বাস (২৫), জিল্লুর রহমান (৬৫), সুজয় ভৌমিক (২০) ও বিজয় ভৌমিককে (২০) গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মির মো.

সাজেদুর রহমান জানান, ৫ জন যাত্রী নিয়ে ইজিবাইকটি উলপুরের দিকে যাচ্ছিলো। ইজিবাইকটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে টেকেরহাট থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী একটি ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে চালকসহ ৬ জন আহত হন।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরমধ্যে তামিমের অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কাশিয়ানীতে মারা যায়। বাকী আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ঢাকা/বাদল/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রশিক্ষণ-কর্মসংস্থান কার্যক্রম শুরু

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০ জনকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১টায় রাজধানীর বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকায় মাল্টিক্রাফট টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

ইকুয়ালিএবল ও বিদেশ ফাউন্ডেশন ইউএসএ নামের দুটি সংগঠনের আর্থিক সহায়তায় অ্যাসোসিয়েশন ফর ইকোনমিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অব বাংলাদেশ, মাল্টিক্রাফট টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন এই কার্যক্রম শুরু করেছে। 

আয়োজকরা জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আন্দোলনে আহতদের শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনায় তাদের জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা, থাকা খাওয়ার পাশাপাশি ও প্রশিক্ষণ পরবর্তী তাদের কর্মসংস্থান পেতে সহায়তা দেওয়া হবে।

শুরুতে যে ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তারা হলেন- পাবনার মিরাজুল ইসলাম, নেত্রকোনার আকাশ মিয়া, কিশোরগঞ্জের জুনায়েদ আহমেদ, টাঙ্গাইলের মানিক মিয়া, মাদারীপুরের নেসার উদ্দিন, বরিশালের আবির হোসেন, ঢাকার উত্তরার আশরাফউদ্দিন ইমন, ঢাকার মহাখালীর রানা মিয়া, বরিশালের হানিফ মিয়া ও সিলেটের জুবেল মিয়া। তাদের কেউ পা হারিয়েছেন, কেউ গুলি ও অন্যান্য আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে নেসার উদ্দিন তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য সংগঠনগুলোকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

বিদেশ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শাহুদ আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০ জনকে নিয়ে শুরু পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে আরও প্রকল্প হাতে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মুস্তাফিজ সরকারকেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আসিয়াব প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম, সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয় ডা. শাকিল আরিফ চৌধুরি, বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের  মহাসচিব ডা. ফরিদ উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. ইশরাত জাহান, প্রকল্প সমন্বয়ক ডা. দলিলুর রহমান,  মাল্টিক্রাফট টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের প্রিন্সিপাল আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যাত্রীবাহী লেগুনা ড্রেনে, দুই পোশাক শ্রমিক নিহত
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রশিক্ষণ-কর্মসংস্থান কার্যক্রম শুরু
  • বগুড়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ২ পুলিশ সদস্য আহত