দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিন দেশ সফর করবেন শি জিনপিং
Published: 12th, April 2025 GMT
চলতি বছরের প্রথম বিদেশ সফরে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশ সফর করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে এই সফরকে কৌশলগত ও কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, শি জিনপিং ১৪-১৫ এপ্রিল ভিয়েতনাম সফর করবেন। এরপর ১৫-১৮ এপ্রিল মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া সফর করবেন।
এর আগে এই সপ্তাহেই তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সর্বাঙ্গীণ সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনের রপ্তানিপণ্যের ওপর গড়ে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে চীন দ্রুত বিকল্প বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক পথ খুঁজছে। বিশেষ করে চীনের প্রতিবেশী ও একইভাবে মার্কিন শুল্কের শিকার দেশগুলোর সঙ্গে।
কম্বোডিয়া (৪৯ শতাংশ), ভিয়েতনাম (৪৬ শতাংশ) এবং মালয়েশিয়া (২৪ শতাংশ)—এই তিন দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমানোর লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে চীনের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে চীন অনেকটাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনার বাইরে রয়েছে।
শি জিনপিং সর্বশেষ মালয়েশিয়া সফর করেছিলেন ১২ বছর আগে এবং কম্বোডিয়া সফর করেছিলেন ৯ বছর আগে। তার সাম্প্রতিক সফর ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভিয়েতনামে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সফর করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয় কারুশিল্প মেলা শুরু আজ, চলবে ১৫ দিন
সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে আজ সোমবার শুরু হচ্ছে পক্ষব্যাপী বৈশাখী মেলা। সোনারতরী লোকজ মঞ্চে সকাল সাড়ে ১০টায় এর উদ্বোধন হবে। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি হওয়ায় একই সঙ্গে এখানে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবও উদযাপিত হবে। এদিকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের নানা সংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ তেঘরিয়া বিটি মাঠের মূল অংশের বাইরে বৈশাখী মেলা আয়োজনের জন্য উপজেলা বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এক দিনের এই আয়োজনের জন্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে ১৭টি শর্ত।
সোনারগাঁয়ের কারুশিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইলিয়া সুমনা। এতে কারুশিল্পীদের হাতের
তৈরি জামদানি, শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, হাতপাখা, কাঠ খোদাইশিল্প, পটচিত্র, শোলা শিল্প,
বাঁশ-বেতশিল্প ও আদিবাসী কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন ও বিপণনের সুযোগ থাকছে।
এ ছাড়াও মেলামঞ্চে প্রতিদিন আয়োজন করা হবে বাউল গান, লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুতুলনাচের। পাশাপাশি হালখাতা, বায়োস্কোপ, সাপের খেলা, নাগর দোলাসহ গ্রামীণ বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকছে। ২৮ এপ্রিল এই মেলা শেষ হবে।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম জানান, বৈশাখী মেলা ও সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব শুরু হবে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে। কৈশোরের রোমাঞ্চকর মুহূর্ত স্মরণের জন্য তিন গুটি, সাত গুটি, বাঘবন্দি, কানামাছি, গোল্লাছুট, বউচি, কপাল টোক্কাসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হবে।
আজ ভোরে চাষাঢ়ার নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাঁশির সুরে শুরু হবে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এখানেই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করবে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। অন্যদিকে চারুকলার অনুষ্ঠানের কেন্দ্র হবে দেওভোগে। আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা তৈরি করেছেন রাজা-রানির বিশাল মুখোশ, পেঁচা, বাঘ, ইলিশ মাছ, পাখি ও ফুলের অবয়ব। এবার ঘোড়া ও গ্রামবাংলার নব্বই দশকের টমটম গাড়ির থিম দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নানা চারুশিল্পের কাজ।
রোববার বিকেলে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে চাষাঢ়ার শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার ও র্যাব-১১ সিইও লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া জানান, নারায়ণগঞ্জ চারুকলা থেকে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা বের হবে। এতে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী সাধারণ মানুষ অংশ নেবেন। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চারুকলা মাঠে গিয়ে শেষ হবে। তারা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এদিকে বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা হলে ওই মাঠ নষ্টের আশঙ্কায় ১০ এপ্রিল তা বন্ধের নির্দেশ দেন কেরানীগঞ্জের ইউএনও রিনাত ফৌজিয়া। এখানে মেলার আয়োজন করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শামসুন নাহার শিলার সই করা পত্রে ওই মাঠে এক দিনের মেলা আয়োজনের অনুমোদন করা হয়। এতে ১৭টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে প্রশাসন। এই অনুমোদনের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।