জুতা পায়ে শহীদ মিনারে জনসভা করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা
Published: 12th, April 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে মঞ্চ তৈরির পর জুতা ও স্যান্ডেল পায়ে জনসভা করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপনের বিরুদ্ধে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভা চলাকালে কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে নির্মিত শহীদ মিনারে জুতা ও স্যান্ডেল পরে দুই ঘণ্টাব্যাপী জনসভা করার দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে শহীদ মিনারে জুতা-স্যান্ডেল পায়ে জনসভা করায় লৌহজংয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।
জানা গেছে, ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্র ও রাজনীতির পরিবর্তনে জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন দেখতে লৌহজং সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে জনসভার আয়োজন করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড.
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন সাংবাদিকদের বলেছেন, শহীদ মিনারটি এখনও নির্মাণাধীন। উদ্বোধন করা হয়নি। এজন্য সেখানে জনসভার মঞ্চ তৈরি করা হয়।
তবে লৌহজং সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক জানান, শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারিতে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই শহীদ মিনারেই ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ল হজ ব এনপ র ক ন দ র য় কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী আন্দোলনকে বাইপাস করে সংসদে যাওয়ার সুযোগ নেই: যশোরে চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ‘ইসলামী নামের দলকে বিভিন্ন সময়ে বোকা পেয়ে ধোঁকা দিয়ে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতার মসনদে গিয়ে আমাদের বারবার প্রতারিত করেছে। এখন যাঁরা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের বলতে চাই, ইসলামী আন্দোলনকে বাইপাস করে (পাশ কাটিয়ে) সংসদে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। ‘ছাত্র–জনতার বিপ্লবে সংগঠিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার এবং ফিলিস্তিনে ইজরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের’ দাবিতে যশোর জেলা ইসলামী আন্দোলন এই জনসভার আয়োজন করে।
জনসভায় সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘ক্ষমতার মসনদে গিয়ে দেশের টাকা পাচার করেছে, আমাদের মায়েদের বুক খালি হয়েছে। আমাদের গুম, খুন করা হয়েছে। এর পরিবর্তন আমাদের করতে হবে। গত ৫৩ বছর অনেক নিষ্পেষিত হয়েছি, আর হতে চাই না।’
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম আরও বলেন, ‘দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের দলের একজনও সংসদে যায়নি। তার মানে কি আমাদের শক্তি নাই? আমাদের দল দুর্বল? কোনো ধান্ধাবাজদের সংসদের যাওয়ার কোনো সিঁড়ি হয়নি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আর হবেও না। আমরা আওয়ামী লীগের শাসনও দেখেছি, বিএনপির শাসনও দেখেছি, জাতীয় পার্টিকে দেখেছি। আপনাদের এখন ইসলামের শাসন দেখা বাকি। বিগত ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই জনগণের ইচ্ছাকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে চায় দেশের জনগণ।’
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন যশোরের সভাপতি আবদুল আলিম মিয়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনটির নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়াল, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন যশোরের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল আলম, জয়েন্ট সেক্রেটারি এইচএম মহসিন, সহকারী সেক্রেটারি আবদুর রশিদ প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঈদগাহ মোড় থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে মনিহার স্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।