বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই নির্দেশ দেন। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২১ বছর পর ডিটেনশন আইন প্রয়োগ করা হলো। একজন নারীকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই তাড়াহুড়া করে রাতে এই আইনে আটক করা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বুধবার রাতে মেঘনাকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করা হয়। তখন তিনি ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। তিনি নিজেকে নিরপরাধ দাবি করছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো.
শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক বার্তায় জানানো হয়, মডেল মেঘনাকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করার কথা বলছে পুলিশ। বার্তায় আরও বলা হয়, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে।
বুধবার রাতে পুলিশ আটক করতে গেলে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভ করেন মেঘনা। তিনি বলছিলেন, তাঁর দরজার বাইরে পুলিশ পরিচয়ধারীরা তাঁকে নিতে এসেছে। লাইভে তিনি শুরুতেই বলছিলেন, ‘বাসায় কিছু মানুষ আক্রমণ করেছে। তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিচ্ছে। আমি বলেছি, থানায় এসে কথা বলব, তারা কথা শুনছে না।’ মেঘনা আলমকে দরজার বাইরে থাকা লোকেদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা আমার দরজা ভাঙার চেষ্টা করছেন। আমার ভয় পাওয়া তো স্বাভাবিক ... না? আপনারা যার কথায় এখানে এসেছেন ... তাকে কখনও আমি আমার বাসায় ঢুকতে দেইনি। আপনার তো আমাকে ফোন করে আসার কথা।’ তার দাবি, বাংলাদেশে নিযুক্ত একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কথায় পুলিশ তাঁর বাসায় এসেছে এবং একপর্যায়ে ভিডিওতে তিনি বলেন, তাঁকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ওপাশ থেকে দরজা খুলতে বলা হলে মেঘনা আলম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তাকে দরজা খোলার কারণ বলতে হবে। অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট থাকতে হবে।’ ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এর পর ডিলিট হয়ে যায়।
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মেঘনা আলম। এদিকে মেঘনাকে আটক করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। প্রশ্ন উঠছে অভিযোগ কিংবা মামলা ছাড়াই কাউকে আটক করার যৌক্তিকতা নিয়ে। আদালত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে নিবর্তনমূলক আটকাদেশ গত ২১ বছর ধরে প্রয়োগ করা হয়নি। এটি ‘কালো’ আইন, যা এতদিন সুপ্ত অবস্থায় ছিল।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য সরকার যে কোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দিতে পারবে। আবার এই আইনের ৩(২) ধারা অনুযায়ী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন– এই আইনের নির্দিষ্ট ধারার ক্ষতিকর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দেবেন।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে যেসব ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে আটকাদেশ দেওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে– দেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষার ক্ষতি করা, দেশের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণের ক্ষতি করা, দেশের নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ক্ষতি করা, বিভিন্ন সম্প্রদায়, শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণাবোধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি করা, আইনের শাসন বা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা বা উৎসাহ প্রদান বা উত্তেজিত করা। ক্ষতিকর আরও কাজ হচ্ছে– জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যক সেবা বা অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করা, জনসাধারণ বা কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বা আর্থিক ক্ষতি করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী সমকালকে বলেন, ‘তার কার্যকলাপ ছিল দেশদ্রোহী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। সে যে ধরনের নেতিবাচক কাজ করছিল, সেগুলো নিবৃত্ত করার জন্য এটা দেওয়া হয়েছে।’
বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহ্দীন মালিক সমকালকে বলেন, শুনেছি, অভিনেত্রী মেঘনা আলম তাঁর বাসায় ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। এ সময় পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে আদালতে নিয়ে আসে। আমি যতটুকু জানলাম, তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত বা ভয়ংকর কোনো অভিযোগ নেই। কেন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে– সেটা তারা বলতে পারবে। তিনি বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে নিবর্তনমূলক আটকাদেশ দেন জেলা প্রশাসক। এটা আদালতের ব্যাপার না। যে কোনো ফৌজদারি মামলাতে গ্রেপ্তার করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হয়। পরে আদালত নির্ধারণ করেন তাঁকে কোথায় পাঠাবেন। আদালতকে বাইপাস করার জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইনে নিবর্তনমূলক আইন করা হয়েছিল। ওই আইনের ভিত্তিটাই হলো– আপনি ক্ষতিকর বা ভাঙচুর কিছু করতে যাচ্ছেন, তবে আপনি কিছু করেন নাই কিন্তু। সরকার যদি সন্তুষ্ট হয়, আপনি এসব খারাপ কাজ করতে উদ্যত হয়েছেন বা আপনাকে বাইরে রাখলে অপরাধগুলো হবে না, তাহলেই ডিটেনশন দিতে পারে। আর এটাতে কোনো জামিন হয় না। কারণ আদালত আপনাকে জেলে পাঠায় নাই। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের পর থেকে জানামতে এই আইনটা আর প্রয়োগ হয় নাই।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সমকালকে বলেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট মামলা বা অভিযোগ ছিল না। যদিও তাঁকে কোনো কারণে গ্রেপ্তার করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের ১৫ দফা (৫৪ ও ১৬৭ ধারা মতে) নির্দেশনা অনুযায়ী বিধিবিধান প্রতিপালন করা অবশ্যই কর্তব্য।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির বাড়ি ভেঙে বা জোর করে ঢুকলে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার যে, এই অভিনেত্রী বা মডেল মেঘনা আলম কোনো সন্ত্রাসী ছিলেন না। একটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে যাওয়া অমানবিক।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এমন একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাল; যা গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারও বিশেষ ক্ষমতা আইনের এই খারাপ ধারাটি ব্যবহার করে কাউকে নিবর্তনমূলক আটক করেনি।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদও এই ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে লিখেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, ‘একটা মেয়েকে কিছু লোক বাড়ির দরজা ভেঙে তুলে নিয়ে গেল। সরকারের ক্ষমতাবান লোকদের জানানোর পরও তাঁর এখনও খোঁজ নাই কেন? সরকারের দায়িত্ব অবিলম্বে মেয়েটিকে উদ্ধার করা এবং লোকগুলো যেই পরিচয়েরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে এ রকম দুর্বৃত্ত তৎপরতার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।’
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সালমা আলী সমকালকে বলেন, এখানে মেঘনা আলমের অপরাধের গভীরতা কতটুকু তা না জেনে এই মুহূর্তে বলা যাবে না। তাছাড়া তিনি একজন নারী। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। তাঁকে যদি আদালতে উপস্থাপন করতেই হয় তাহলে রাতে কেন, সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এত তাড়াহুড়ার কী ছিল। প্রয়োজনে তাঁর বাসা ঘেরাও করে রেখে কাজটা সকালে করতে পারত। দেশদ্রোহিতাসহ অনেক অভিযোগ হতে পারে, সেটা যাচাই-বাছাই করতে পারত। বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কিনা, সেটা বুঝতে হবে। এমন কী অপরাধ করল যে একজন মহিলাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে রাতেই আদালতে নেওয়া হলো। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সরকার তো সবই পারে– মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
ঢাকার আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফৌজদারি বিশেষজ্ঞ আমিনুল গনি টিটো সমকালকে বলেন, সরকার যেটা করছে, আমি এ প্রক্রিয়ার পক্ষে না। এ ধরনের ঘটনা রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য এটি একটি খারাপ দৃষ্টান্ত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র তালেবুর রহমান জানান, ‘সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মেঘনাকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তথাপি আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে।’
মেঘনার ব্যাপারে আটকাদেশের ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কূটনীতিক বলেন, ‘বিষয়টি সংবেদনশীল’। আবার যে দেশের কূটনীতিককে মেঘনা ‘দায়ী’ করছিলেন, সেই দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে তারা মন্তব্য করেনি।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা আইন ১৯৫২, জননিরাপত্তা অর্ডিন্যান্স ১৯৫৮ এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ তফসিলি অপরাধ (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশকে প্রতিস্থাপনের জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিটেনশন আইনটি পাস করা হয়েছিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ব শ ষ ক ষমত আটক দ শ দ করছ ল ন ড ট নশন আইনজ ব র জন য ম ঘন ক অন য য় ফ সব ক সরক র অপর ধ আইন র
এছাড়াও পড়ুন:
সাত বছর ধরে হেলিকপ্টার বানাচ্ছেন রাজমিস্ত্রী আরিফুল, তিন সপ্তাহের মধ্যে আকাশে ওড়ানোর স্বপ্ন
শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামের রাজমিস্ত্রী আরিফুল ইসলাম হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সাত বছর ধরে একটি হেলিকপ্টার তৈরি করায় এ নিয়ে এলাকায় তাঁকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হেলিকপ্টার তৈরির কাজ শেষ করে তা আকাশে ওড়াতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
আরিফুল মাটিয়ান গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেনের ছেলে। বাড়িতে ছোট্ট একটি ঘরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে হেলিকপ্টার। আশেপাশে পড়ে রয়েছে নানা সরঞ্জাম। হেলিকপ্টার তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৮ সাল থেকে সাত বছর ধরে দৈনিক আয়ের কিছু অংশ থেকে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাঁকি কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও ৫০ হাজার টাকার দরকার বলে জানান তিনি। টাকার ব্যবস্থা হলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ করে হেলিকপ্টারটি আকাশে উড়াতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।
মাটিয়ান গ্রামের জাকারিয়া জুয়েল বলেন, ছোটবেলা থেকে আরিফুল অনেক কিছু তৈরি করতেন। দরিদ্র আরিফুল তাঁর উপার্জনের টাকা দিয়ে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু তৈরি করতে পারবেন।
আরিফুলের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, এক মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে আমরা জীবনযাপন করি। আমার স্বামী তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে উপার্জনের টাকা ব্যয় করে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। এতে আমাদের কষ্ট হলেও আমরা খুশি।
কিচক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, হেলিকপ্টার তৈরির বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা তাঁর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, হেলিকপ্টার তৈরি করায় আমরা তাঁকে সাধুবাদ জানাই। এ কাজে উৎসাহ যোগাতে প্রয়োজনে তাঁকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। হেলিকপ্টার দেখার জন্য প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে শতশত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।