ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় পর্ষদের হস্তক্ষেপ থাকা যাবে না
Published: 11th, April 2025 GMT
চতুর্থ প্রজন্মের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এসবিএসি) পথচলার এক যুগ পেরিয়ে ১৩তম বছরে পা দিয়েছে। এসবিএসি ও ব্যাংক খাতের বিভিন্ন বিষয়ে সম্প্রতি সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মোখলেসুর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছে ওবায়দুল্লাহ রনি
সমকাল: পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন। ব্যাংকটি কেমন দেখছেন?
মোখলেসুর রহমান: চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ২০১৩ সালে এই ব্যাংক যাত্রা শুরু করে। সেই থেকে এ পর্যন্ত কোনো সূচক নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়নি। মূলধন পর্যাপ্ততা হার সঠিক মানদণ্ডে রয়েছে। ব্যাংক খাতের তুলনায় খেলাপি ঋণ অনেক কম রয়েছে। ঋণ-আমানত অনুপাত নির্ধারিত মাত্রায় রাখা সম্ভব হয়েছে। সিআরআর, এসএলআরে কখনও ঘাটতি হয়নি। আমাদের বিশ্বাস এটিকে দেশের সবচেয়ে ভালো ব্যাংক হিসেবে দাঁড় করানো সম্ভব। তবে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য টিমওয়ার্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। এই ব্যাংকের মানবসম্পদ ঠিক আছে। এরপরও কোনো ঘাটতি আছে কিনা, তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য কর্মীদের একটি অংশের সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে বিআইবিএমের সঙ্গে একটি চুক্তি করা হয়েছে। ব্যাংকের নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কার্যকরভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যয় সাশ্রয়ী ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। একটি ব্যাংকে পরিচালকরা আর কত টাকা দেন। ব্যাংক চলে জনগণের টাকায়। জনগণের টাকার সুরক্ষা দেওয়ার প্রধান দায়িত্ব ব্যবস্থাপনা পরিচালকের। পর্ষদ সেটা তদারক করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকি তো আছেই।
সমকাল: এক যুগে এসবিএসি ব্যাংকের অগ্রগতি নিয়ে আপনি কতটুকু সন্তুষ্ট?
মোখলেসুর রহমান: ভালোর শেষ নেই। আমরা সর্বোচ্চ ভালো করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। বর্তমানে ৯০টি শাখা ও ৩২টি উপশাখা এবং ৩৭টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের ২০২টি ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকিং রয়েছে। আমানত দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। ঋণের রয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪ সালে পরিচালন মুনাফা ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৩০৫ কোটি টাকা হয়েছে। মূলধন পর্যাপ্ততার হার ১২ শতাংশের ওপরে। সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর মধ্যে এই ব্যাংকের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরণ হচ্ছে। গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী সহজ ও দ্রুত আধুনিক লেনদেন সেবা দিতে মোবাইল ওয়ালেট বাংলাপে, অনলাইন ব্যাংকিং, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড সেবা দেওয়া হচ্ছে। বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, গুণগত ঋণ বিতরণের পাশাপাশি ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সমকাল: গত কয়েক বছরে ব্যাংক খাতে বড় বড় জালিয়াতি হয়েছে। পুরো ব্যাংক খাতে যার প্রভাব রয়েছে। এ ধরনের জালিয়াতি ঠেকাতে আগামী দিনে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
মোখলেসুর রহমান: একটি ব্যাংকের জন্য সুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুশাসন পরিপূর্ণ মাত্রায় থাকতে হবে। ব্যাংক পরিচালনা করবে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। ব্যবস্থাপনার ওপর পরিচালনা পর্ষদের কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না। ব্যবস্থাপনার সঙ্গে চেয়ারম্যান দূরত্ব বজায় রেখে চললে ব্যাংক ভালো চলবে। পরিচালনা পর্ষদ সামগ্রিকভাবে ঠিকমতো চলছে কিনা, সেটা দেখা উচিত। সুনাম বা খ্যাতি একটি ব্যাংকের জন্য অনেক বড় বিষয়। একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে, কতটা স্বাধীনভাবে ব্যাংক চালান, গ্রাহকদের মধ্যে এসব একটি স্বস্তির জায়গা তৈরি করে। পরিচালনা পর্ষদ দেখবে সুশাসন ঠিক আছে কিনা, নীতি সহায়তা দেবে। যারা অনিয়ম-জালিয়াতি করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে আশা করি।
সমকাল: ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে আপনারা কোন খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন?
মোখলেসুর রহমান: কৃষি, এসএমইতে ঋণের একটি অংশ বিতরণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দিকনির্দেশনা রয়েছে। সে আলোকে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও বৃহৎ পরিসরে কী করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ চলছে। সফল ব্যাংক হিসেবে যেগুলোকে বলা হয়, সেগুলোর সফলতার মূলে হলো নিজেদের তৈরি উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা তৈরি করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে হয়তো কিছু ব্যর্থতা দেখা দেয়। কিছু সফলতা আসে। বর্তমান সময়ে ব্যাংক খাতে অনেক ধরনের মডেল তৈরি হয়েছে। ব্যয় সাশ্রয়ী, পেপারলেস ব্যাংকিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি সময় ব্যাংক ছিল শুধু এলিট শ্রেণির জন্য। এখন উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মতো অনেক ধরনের কম খরচের মডেল ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। সাধারণ একটি শাখার জন্য অনেক খরচ করতে হয়। আবার একজন লুঙ্গি পরা গ্রামের মানুষ উচ্চ সাজসজ্জার শাখায় ঢুকতে চায় না। এখনও ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার অনেক জায়গা রয়েছে।
সমকাল: ব্যাংক খাতে একটি বড় সমস্যা তারল্য সংকট। কয়েকটি ব্যাংক আমানতকারীর টাকা ফেরত দিতে পারছে না। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেন?
মোখলেসুর রহমান: দেশের ব্যবসা-বিনিয়োগ প্রধানত ব্যাংক খাতনির্ভর। আর্থিক সমৃদ্ধির জন্য ব্যাংক খাত শক্তিশালী হওয়া অপরিহার্য। আমাদের এখানে ব্যাংক ব্যবসার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো, স্বল্পমেয়াদি আমানত নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিকল্পনা করি। এর মানে ভারসাম্যহীনতা। সাউথ বাংলা ব্যাংক এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েনি। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এসব ম্যানেজ করে চলেছে। সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ভালো গ্রাহক নির্বাচনের পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্যের কমিশন বেজড আয়কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সর্বোত্তম গ্রাহকসেবা নিশ্চিতের মাধ্যমে নিজেদের একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঋণ ব তরণ এসব এস র জন য সমক ল ধরন র র একট
এছাড়াও পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (১২-১৮ এপ্রিল)
সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।
পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রলজার্স সোসাইটির (বিএএস) যুগ্ম মহাসচিব জ্যোতিষশাস্ত্রী ড. চিন্ময় চৌধুরী মিথুন।
মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করুন। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখুন। আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতার লোকজন থেকে দূরে থাকাই শ্রেয় হবে। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বা পরিবেশ তৈরি হলে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করুন। আর্থিক যোগাযোগ শুভ। ভ্রমণ শুভ।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (৫-১১ এপ্রিল)
এ সপ্তাহের রাশিফল (২৯ মার্চ-৪ এপ্রিল)
বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): পেশাগত সফলতা পাবেন। কোনো ধরনের অলসতাকে প্রশ্রয় দিবেন না। পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়বে। অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। আর্থিক বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। দাম্পত্য জীবনযাপন নিয়ে যত্নশীল হোন। দ্বৈত মনোভাবের কারণে পেশাগত বিষয় নিয়ে সাবধানে থাকতে হবে।
মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): সাংসারিক দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য ইতিবাচক সহনশীলতা বাড়াতে হবে। শারীরিক ও আর্থিক বিষয় আপনার জন্য শুভ নয়। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পেশাগত কাজে জটিলতা বাড়তে পারে। বাস্তবতা বিবর্জিত আবেগকে প্রশ্রয় দেবেন না।
কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): অর্থনৈতিক বিষয় আপনার অনুকূলে থাকবে। সফলতার জন্য আত্মশক্তিতে ভরপুর থাকুন। দোদুল্যমান মানসিকতার জন্য পেশাগত কাজে সফলতা লাভের অন্তরায় হবে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। সহজ সরল জীবনযাপন করার চেষ্টা করুন।
সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): আর্থিক ভাগ্য সুপ্রসন্ন। পরিবারে আপনার জন্য গুরুত্ব ও সম্মান বাড়বে। কর্মজীবনে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হতে পারে। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। বাস্তবতা বিবর্জিত আবেগকে প্রশ্রয় দেবেন না।
কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): সুস্বাস্থ্য রক্ষায় পুষ্টিকর আহার ও নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক মতানৈক্য এড়িয়ে চলুন। কারোর সমালোচনায় ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করুন। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে।
তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): পারিবারিক ও আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে উৎকন্ঠা বাড়তে পারে। আবেগ প্রবণতার কারণে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। রোমান্টিক সম্পর্কে আনন্দ অনুভব করবেন। দাম্পত্য ও ব্যবসায়িক বিষয় আপনার অনুকূলে নাও থাকতে পারে।
বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): সাফল্য লাভ হবে, তবে তার সঙ্গে ধৈর্য ও একাগ্রতা বৃদ্ধি করুন। পারিবারিক বিষয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করুন। আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে উৎকন্ঠা বাড়তে পারে। কর্মজীবনে নানামুখী চাপ বাড়তে পারে। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। ভ্রমণ শুভ।
ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): স্নায়ুবিক দুর্বলতায় ভুগতে পারেন। পারিবারিক জীবন ভালো যাবে। অর্থের বিষয়ে অমিতব্যয়িতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রোমান্টিক সম্পর্কে আনন্দ পাবেন। মানসিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। বাত জাতীয় সমস্যায় ভুগতে পারেন।
মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ার): পারিবারিক জীবনে সমন্বয় করে চলার চেষ্টা করুন। প্রিয়জন আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আর্থিক বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। নেতিবাচক পরিবেশ আপনার জন্য শুভ নয়। খাদ্য নির্বাচনে বিশেষ সতর্ক থাকুন।
কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): পারিবারিক বিষয়ে ইতিবাচক থাকুন। পেশাগত কাজে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। ইতিবাচক দৃষ্টিতে জীবন পরিচালনা করুন, সফলতা আপনার করায়ত্তে। ঠান্ডাজনিত বিষয় থেকে সতর্ক থাকুন।
মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): পারিবারিক পরিবেশে সহনশীলতা প্রয়োজন। প্রতিটি বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। শরীরে ঠান্ডা লাগতে দিবেন না। ভ্রমণ শুভ। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। আর্থিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। মানসিক অবসাদজনিত কারণে পেশাগত কাজে জটিলতা বাড়তে পারে।
ঢাকা/ফিরোজ