দেশের নামে পরিবর্তন নয়, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে থাকা প্রজাতন্ত্র শব্দের পরিবর্তে জনকল্যাণ শব্দ যোগ করার প্রস্তাব করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দলটি।

দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বিবৃতিতে বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে দেশের সাংবিধানিক নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’-এর পরিবর্তে ‘জনগণতন্ত্রী’ অথবা ‘নাগরিকতন্ত্র’ শব্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর দল কমিশনের প্রস্তাবের বিপরীতে ‘জনকল্যাণ’ শব্দ যোগ করার পাল্টা প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন একমত পোষণ করেছে। তবে গণমাধ্যমে তার দলকে জড়িয়ে যে ধরনের সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর; বরং রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নামের পরিবর্তনের প্রস্তাব সংবিধান সংস্কার কমিশনই দিয়েছে।

রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নাম রাষ্ট্রের চরিত্র বহন করে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবিধানিক নাম তাদের নীতি ও চরিত্রকে প্রকাশ করে।

বিকল্প নামের ক্ষেত্রে জনগণতন্ত্র বা নাগরিকতন্ত্র শব্দকে ইসলামী আন্দোলন যথার্থ মনে করে না জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তন্ত্র’ কী হবে, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। তাই রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক নামের মধ্যেই জনকল্যাণ যুক্ত হলে রাষ্ট্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য বাস্তবায়ন সর্বদা সবার মনে জাগ্রত থাকবে।

সংস্কার কমিশনের কাছে ভবিতব্য স্বৈরতন্ত্র রোধে দলটি বেশ কিছু প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে উল্লেখ করে যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। কারণ, তাতেই আগামীর বাংলাদেশের পথ সুগম হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প রস ত ব জনকল য ণ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের নাম ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ চায় ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের বর্তমান নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবর্তে নাগরিকতন্ত্র ও জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ চালুর প্রস্তাব করেছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন। তবে নতুন প্রস্তাবনায় ‘পিপল ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ তথা ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নামে প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে দেওয়া দলীয় মতামতে এমন প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত কমিশন কার্যালয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে মতামত তুলে দেন দলটির প্রতিনিধিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুস আহমাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, ইমতেয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আহমদ আবদুল কাইয়ুম এবং মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে এম শরিয়াতুল্লাহ।

মতামত পেশ শেষে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রের নাম হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছে ‘ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’। কারণ, এই নামের মধ্যেই জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক হারে চাই। স্থায়ীভাবে স্বৈরাচার প্রতিরোধিতা কার্যকর পদ্ধতি।

এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, স্বাধীনতার পর সবার অংশগ্রহণে রাষ্ট্রসংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, যাতে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব। আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিনই কমিশন একাধিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবে।

সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ জাসদ ও জাকের পার্টির সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নানা মত, ধর্ম ও রীতিনীতির মধ্যেও আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা
  • আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা
  • দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই এক পরিবার: প্রধান উপদেষ্টা
  • দেশের নাম ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ চায় ইসলামী আন্দোলন