মাঠে ফের হাট বসানোর চেষ্টায় প্রভাবশালীরা
Published: 11th, April 2025 GMT
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের শিয়ালখোওয়া এস সি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির অবস্থান পাশাপাশি। একই মাঠে খেলাধুলা করে শিক্ষার্থীরা। আগে মাঠটিতে সপ্তাহের শনিবার ও বুধবার হাট বসত। গত বছরের ১২ মে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন মাঠে হাট বন্ধ করে। তখন থেকে পাশের ব্যক্তি মালিকানার জমিতে চলে বেচাকেনা।
এমন উদ্যোগে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরে বিদ্যালয় দুটিতে। সম্প্রতি শিয়ালখোওয়া হাটের ইজারা নিয়েছে প্রভাবশালী এক মহল। তারা মাঠটিতে ফের হাট বসানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। হাট না বসানোর দাবিতে গত মাসে অভিভাবকদের পক্ষে আব্দুল খালেক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
মাঠে ফের হাট বসবে বলে শুনেছেন শিয়ালখোওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম। তাঁর ভাষ্য, হাট বসলে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হবে। সকাল ১০টার পর থেকে দোকান বসার পাশাপাশি লোকজনের সমাগম বাড়তে শুরু করে। এসসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনীন্দ্রনাথ রায় বলেন, হাটের দিনে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকে। বিদ্যালয় মাঠে আবারও হাট বসবে কিনা–এ বিষয়ে ইউএনওর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাটের পাশে এ দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও তিনটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে দেড় হাজারের বেশি ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করছে। একটি মাঠই তাদের ভরসা।
ব্যবসায়ী মাসুদ রানার ভাষ্য, আগের সরকারের আমলে ৭৬ শতক খাসজমিতে দোকান তুলে ভাড়া দেয় একটি চক্র। সেখানে হাট না বসিয়ে ব্যক্তিমালিকানায় কার্যক্রম চালায় আগের ইজারাদার। এবার বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসানোর চেষ্টা করছে। সামাজিক সংগঠন অন্ন-ধারা ২৬-এর সভাপতি সোহেল রানা বলেন, নতুন ইজারাদার এলাকার বড় নেতার লোক বলে পরিচিত।
শিয়ালখোওয়া হাট ও বাজারে তামাক, গরু, ছাগল, হাস, মুরগি, সাইকেল, মাছসহ নানান জিনিস বেচাকেনা চলে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হাটের কার্যক্রম চালু হলে ব্যাপক লোকসমাগম, শব্দদূষণ ও বর্জ্যে শিক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অতিরিক্ত লোকসমাগমে সামাজিক অপরাধ বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
৭৬ লাখ টাকা ইজারায় হাটের ডাক পেয়েছেন বলে জানান শিয়ালখোওয়া হাট ও বাজারের ইজারাদার আসাদুল ইসলাম হিরু। তিনি বলেন, ‘দেখা যাক কোথায় হাট বসানো যায়। সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইউএনও জাকিয়া সুলতানা বলেন, অনেক আগ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে হাট বসত। গত বছর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ বছর আবারও হাট বসবে কিনা, এ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হাটটি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে বিকল্প স্থান খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
অভিষেকের ‘দানব’ হয়ে ওঠার ম্যাচে যত রেকর্ড
রান পাচ্ছিলেন না অভিষেক শর্মা। এর আগের ৫ ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ২৪ রানের। রান না পাওয়ার সব আক্ষেপ গতকাল পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মিটিয়েছেন এই ওপেনার। খেলেছেন ৫৫ বলে ১৪১ রানের ইনিংস। তাঁর এই সেঞ্চুরিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২৪৬ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ম্যাচ জিতেছে। আর তাতে অনেক রেকর্ডের তালিকায় ঢুকে গেছে ম্যাচটি। যেসব রেকর্ড হলো সেটি দেখে নেওয়া যাক—১৪১আইপিএলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।২৪৬আইপিএলে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে চতুর্থ। আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড পাঞ্জাব কিংসের। ২০২৪ সালে কলকাতার বিপক্ষে ২৬২ রান তাড়া করেছিল পাঞ্জাব।২৪৫আইপিএলে আগে ব্যাট করে এটি পাঞ্জাব কিংসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। দুই ইনিংস মিলিয়ে দ্বিতীয়।১০গতকাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১০ ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন অভিষেক শর্মা। হায়দরাবাদের হয়ে এক ইনিংসে ৮টি করে ছক্কা মেরেছেন ৬ জন।২৪অভিষেক কাল সব মিলিয়ে বাউন্ডারি মেরেছেন ২৪টি। আইপিএলে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি বাউন্ডারি মেরেছেন শুধু ক্রিস গেইল। ২০১২ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৩০টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন গেইল। যশস্বী জয়সোয়ালও ২০২৩ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২৪টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন।১৯কাল অভিষেক ফিফটি পেয়েছেন ১৯ বলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোনো ব্যাটসম্যানের এটি তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি। আইপিএলে ২০ বলের কম খেলে অভিষেক ফিফটি করেছেন ৩ বার। এর চেয়ে বেশিবার ২০ বলের কমে আইপিএলে ফিফটি করেছেন শুধু নিকোলাস পুরান।৪০বলের দিক থেকে আইপিএলে এটি পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরি। ভারতীয়দের মধ্যে এটি তৃতীয় দ্রুততম। তবে অভিষেকই প্রথম ব্যাটসম্যান, যাঁর ৪০ বল বা এর নিচে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩টি সেঞ্চুরি আছে।১৭১অভিষেক ও ট্রাভিস হেডের ১৭১ রানের ওপেনিং জুটি হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টোর। ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে ১৮৫ রান তুলেছিলেন ওয়ার্নার ও বেয়ারস্টো।‘ট্রাভিষেক’ জুটি কাল তুলেছে ১৭১ রান