রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতি পেয়ে নতুন ৯ জন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হয়েছেন। এত দিন তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত বৃহস্পতিবার তাঁদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ পাঁচজন ডিএমডি হয়েছেন সোনালী ব্যাংক থেকে। তাঁদের মধ্যে মো.

রেজাউল করিম, মো. নূরুন নবী ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে সোনালী ব্যাংকেই পদায়ন করা হয়েছে। আর মো. রফিকুল ইসলামকে বেসিক ব্যাংকে ও মো. নজরুল ইসলামকে জনতা ব্যাংকে পদায়ন করা হয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংক থেকে ডিএমডি হয়েছেন দুজন। তাঁদের মধ্যে রূবানা পারভীনকে একই ব্যাংকে রাখা হলেও নূরুল হুদাকে পদায়ন করা হয়েছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি)। এ ছাড়া কৃষি ব্যাংকের মোহা. খালেদুজ্জামানকে কৃষি ব্যাংকে এবং জনতা ব্যাংকের মো. আশরাফুল আলমকে জনতা ব্যাংকের ডিএমডি পদে পদায়ন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমডি, ডিএমডি ও জিএম পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন নীতিমালা-২০২৩ অনুসরণ করে তাঁদের পদোন্নতি দেওয়া হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। পদোন্নতি চূড়ান্ত করেছে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি। এর আগে তাঁদের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড এমড

এছাড়াও পড়ুন:

আজ চৈত্র সংক্রান্তি

চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন আজ। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। এছাড়াও আগামীকাল সোমবার পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২।

আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।

চৈত্র সংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

এছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়। হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি।

চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।

চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে সোমবার সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেখা দেবে নতুন ভোর। পুরনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে। জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সব কিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে গোটা জাতির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ