শান্তর চোখে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া কিংবা আফ্রিকা সবই সমান
Published: 11th, April 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যখন নড়বড়ে, তখন টেস্ট সিরিজ খেলতে আসছে ‘বিপদের বন্ধু’ জিম্বাবুয়ে। দুই ম্যাচের সিরিজ সামনে রেখে শক্তিশালী দল দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষকে নিয়ে কোনোভাবে হালকা ভাবার সুযোগ নেই বলে মনে করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার চোখে, জিম্বাবুয়ে যেমন, তেমনি অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকা সব আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষই সমান গুরুত্বের দাবিদার।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মিরপুরে আবাহনী লিমিটেডের অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্ত বলেন, ‘প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজই চ্যালেঞ্জিং। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধেও আমাদের সেই মানসিকতা নিয়েই নামতে হবে। যে চাপ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে গেলে থাকে, এখানেও সেটা থাকবে।’
অনেকেই জিম্বাবুয়েকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেন। তবে টাইগার অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তারা কোনো দলকে ছোট করে দেখছেন না। শান্ত বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, কোনো দলই ছোট নয়। ক্রিকেটাররাও এমন কিছু ভাবছে না। আমি চাই সাধারণ মানুষ এবং মিডিয়াও যেন এমন করে না ভাবে। জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকা সবাইকেই আন্তর্জাতিক মানের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে হবে।’
এ সিরিজকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন শান্ত। তার ভাষায়, ‘আমরা কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি সেটাই আসল বিষয়। গত বছর যদি দেখেন, টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের উন্নতি হয়েছে। তিনটি ম্যাচ জিতেছি। এবার আরও ছয়টি টেস্ট রয়েছে। আমরা চাই এর চেয়ে ভালো ফল করতে।’
আগামী ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে দল। সিলেটে প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে ২০ এপ্রিল, দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটিতে ঘরে ঘরে পাঁজন আপ্যায়ন
চাকমা বর্ষবরণের বড় উৎসব ‘বিজু’। বিজুর প্রথম দিনের নাম ফুল বিঝু। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ চৈত্রের শেষ দিনকে বলা হয় মূল বিজু। এদিন থেকে শুরু হয় খাওয়া দাওয়া ও অতিথি আপ্যায়নের মূল পর্ব। এ উৎসবের মূল উপাদান ‘পাঁজন’।
পাহাড়ি বর্ষবরণের আবহমানকালের বহু ঐতিহ্যের অপরিহার্য অংশ হিসেবে চাকমা সংস্কৃতিতে টিকে আছে বিজু উৎসবের এই পাঁজন রান্না। আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাঙামাটির ঘরে ঘরে চলছে পাঁজন আপ্যায়ন।
অন্তত ৩২ রকমের সবজি দিয়ে রান্না হয় ঐতিহ্যবাহী ‘পাঁজন’। আলু, পেঁপে, গাজর, বরবটি, কচু, লাউ, কাঁচকলা, কচি কাঁঠাল, সজনে ডাটা, বন থেকে সংগ্রহ করা নানা প্রকারের সবজি কেটে ধুয়ে নিয়ে শুটকি বা চিংড়ি মাছ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাঁজন বা তরকারি রান্না করেন চাকমা নারীরা। চাকমাদের বিশ্বাস, এই খাবার খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন:
ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’ উৎসব শুরু
বর্ষবরণে থাকছে ‘অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হবার বার্তা’
উৎসবের তৃতীয় দিন আগামীকাল ১৪ এপ্রিল চাকমা, ত্রিপুরারা গোজ্জ্যাপোজ্জা পালন করবেন।
ত্রিশরণ চাকমা বলেন, “১২ এপ্রিল ফুল ভাসিয়ে পুরাতন বর্ষকে বিদায় দিয়ে থাকি আমরা। ১৩ এপ্রিল সকালে গোসল শেষে বাসার বয়স্কদের পা ধরে প্রণাম করি। এদিন বাড়িতে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম পাঁজন তরকারি। অনেক ধরনের সবজি দিয়ে এই পাঁজন রান্না হয়। কমপক্ষে ৩২ রকমের সবজি থাকে এতে।”
বিনিতা চাকমা বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, নানা ধরনের সবজি মিলিয়ে তৈরি এই পাঁজন খেলে শারীরিকভাবে সুস্থ ও রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাই এটি এটি আমাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।”
বাড়ি বাড়ি বেড়াতে থাকা শিক্ষক রিংকু দে বলেন, “এইদিন আমরা পাহাড়ি বন্ধু ও সহকর্মীদের বাড়িতে বেড়াতে যাই। যে বাড়িতেই যাই না কেন অবশ্যই পাঁজনটা খাওয়া হবেই।”