খেলার কোনো বয়স হয় না—এ কথাটিই আবারও সত্য প্রমাণ করলেন জোয়ানা চাইল্ড। বয়স যখন ৬৪, তখন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামলেন এই নারী ক্রিকেটার। আর তাতে ক্রিকেট দুনিয়ায় এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। বয়সের বাঁধা পেরিয়ে তিনি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে নেমে হয়েছেন বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়।

যদিও ব্যাট হাতে তেমন কোনো রান করতে পারেননি, তবুও তার মাঠে নামার ঘটনাটি হয়ে উঠেছে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এক বিরল অনুপ্রেরণার উৎস। জোয়ানা চাইল্ড পুরো সিরিজেই খেলেছেন, যেখানে পর্তুগাল মুখোমুখি হয় নরওয়ের। প্রতিটি ম্যাচে তিনি দেখিয়েছেন সাহস, উদ্দীপনা ও খেলায় প্রতি নিদারুণ ভালোবাসা।  

গেল ৭ এপ্রিল আলবারগারিয়াতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নরওয়ের বিপক্ষে পর্তুগালের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামেন তিনি। এই অর্জনের মাধ্যমে তিনি পেছনে ফেলেছেন ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্ড্রু ব্রাউনলি (৬২ বছর ১৪৫ দিন) এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ম্যালি মুর (৬২ বছর ২৫ দিন)-এর মতো অভিজ্ঞদের। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষেকের রেকর্ড এখনো রয়েছে জিব্রাল্টারের স্যালি বার্টনের দখলে। যার অভিষেক হয়েছিল ৬৬ বছর ৩৩৪ দিন বয়সে।

আরো পড়ুন:

আইপিএলে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্পেল, আর্চারের দুঃস্বপ্নের দিন

অবসর ভেঙে ফিরেই ২৮ বলে ১৫ ছক্কায় ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি

পর্তুগাল নারী দলের অধিনায়ক সারা ফু-রাইল্যান্ড বলেছেন, ‘‘জোয়ানা অনেক ক্রিকেটারের জন্যই এক বিশাল অনুপ্রেরণা।’’ পর্তুগাল দলের স্কোয়াডে ১৫ বছর বয়সী কিশোরী থেকে শুরু করে ৬৪ বছরের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়—সবাই ছিল একসঙ্গে। এমন বয়সের বৈচিত্র্য সত্যিই অনন্য উদাহরণ।

পর্তুগাল-নরওয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পর্তুগাল ২-১ ব্যবধানে জয়ী হয়। শেষ ম্যাচে ৯ উইকেটের দারুণ জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে তারা।

জোয়ানা চাইল্ডের এই কীর্তি প্রমাণ করে দিলো বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। যদি মনের জোর থাকে তবে যেকোনো বয়সেই শুরু করা সম্ভব নতুন কিছু! পাশাপাশি জোয়ানা চাইল্ডের এই অভিষেক প্রমাণ করে স্বপ্ন দেখার কোনও বয়স নেই। আর শুরু করতেও দেরি হয় না। যেকোনো বয়সেই আপনি আপনার জায়গা করে নিতে পারেন যদি থাকে সাহস আর মনোবল।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড পর ত গ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে প্রথমবারের মতো বিরল রোগ এসএমএ`র ক্লিনিক্যাল টেস্ট সম্পন্ন

স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি বা এসএমএ নামের দুরারোগ্য বিরল রোগটি নির্ণয়ের পরীক্ষা (টেস্ট) দেশে হতো না। ব্যয়বহুল পরীক্ষাটি ভারতসহ অন্য দেশ থেকে করিয়ে আনতে হতো। প্রথমবারের মতো দেশেই সফলতার সঙ্গে পরীক্ষাটি সম্পন্ন করা গেছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের উদ্যোগ ও আন্তরিকতায় এবং রোগটি নিয়ে কাজ করা দেশের একমাত্র সংগঠন 'কিউর এসএমএ বাংলাদেশ' এর সহযোগিতায় অনেকটা অসাধ্যই সাধন হয়েছে দেশে। এতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরোটারি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার।

টেস্টের রিপোর্ট প্রদান উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে একটি বিশেষ ক্লিনিক অনুষ্ঠিত হয়। এদিন এসএমএ টেস্টের রিপোর্ট রোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এই রোগের ক্লিনিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিরল এই রোগের চিকিৎসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হলো দেশে।

‘নিউরোমাসকুলার ডিজিজ ট্রিটমেন্ট সেন্টার’ বা ‘এসএমএ ক্লিনিক’ নামের এই আয়োজনে বিরল এসএমএ রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।

ক্লিনিকে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলম, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরোটারি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ডা. মোহম্মদ শাহেদ আলি জিন্নাহ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের শিশু নিউরোলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নারায়ণ সাহা, পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জুবাইদা পারভিন, রোশ বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্ক হীব, কিউর এসএমএ বাংলাদেশের প্রতিনিধিসহ শিশু হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরোটারি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ।

এসএমএ আক্রান্ত রোগীদের কল্যাণে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম এই বিশেষ ক্লিনিকটির যাত্রা শুরু হয়। এসএমএ রোগের চিকিৎসায় মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচ প্রয়োজন হয়। তেমনি প্রয়োজনীয় প্রায় সব ডিসিপ্লিনের চিকিৎসাসেবাকে এক ছাতায় এনে আয়োজন করা হয় এই বিশেষ এসএমএ ক্লিনিকের।

এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত এসএমএসহ মোট ২০ জনের বেশি জেনেটিক রোগে আক্রান্ত রোগী বিনামূল্যে সেবা গ্রহণ করেন। ক্লিনিকে চিকিৎসকদের পরামর্শের পাশাপাশি থেরাপি, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় ডিভাইসের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়।

এসএমএ বা স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি একটি দুরারোগ্য বিরল রোগ। পেশির সঞ্চালনকে নিয়ন্ত্রণ করে যে মোটর নিউরোন, তা নষ্ট হওয়াই জিনঘটিত এই বিরল রোগের কারণ। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী, টাইপ ওয়ান থেকে টাইপ ফোর পর্যন্ত হয় এসএমএ। এর ওষুধ বাজারে এলেও তা সাধারণের কেনা সাধ্যাতীত।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাক চলাচল শুরু
  • প্রথমবার অন্তরঙ্গ দৃশ্যে, শ্রাবন্তী বললেন, ‘আমি আপ্লুত’
  • প্রথমবার সরকারপ্রধানের রাষ্ট্রীয় সফরসঙ্গী হচ্ছেন নারী ক্রীড়াবিদরা
  • প্রথমবারের মতো তৈরি হলো মস্তিষ্কের থ্রিডি মানচিত্র
  • ‘সংযোগ’ বদলে দিয়েছে মাতৃত্বের প্রথম অভিজ্ঞতা
  • দেশে প্রথমবারের মতো বিরল রোগ এসএমএ`র ক্লিনিক্যাল টেস্ট সম্পন্ন