যুক্তরাষ্ট্রের হাডসন নদীতে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এতে পাইলটসহ ছয় আরোহী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি সিমেন্সের কর্মকর্তা অগুস্তিন এসকোবার ও তাঁর পরিবারের চার সদস্য রয়েছেন। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের প্রশাসন এই তথ্য জানিয়েছে। অগুস্তিন স্পেনে সিমেন্সের রেল অবকাঠামো বিভাগের নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার জার্সি সিটির কাছে হাডসন নদীতে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, সিমেন্সের নির্বাহী অগুস্তিন এসকোবার তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে ভ্রমণ করছিলেন। এ সময় তাদের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় এবং সবাই নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘটনার সময় তারা একটি বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তার পর হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়তে দেখেছেন তারা।

ঊর্ধ্বতন এক আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা বলেছেন, প্রযুক্তি কোম্পানি সিমেন্সের রেল অবকাঠামোর প্রধান নির্বাহী অগুস্তিন এসকোবার, তাঁর তিন সন্তান ও স্ত্রী ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন। ঘটনার পর হিমশীতল নদী থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেউ বেঁচে নেই। ঘটনার সংবেদনশীলতার কারণে ওই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা তাঁর নাম প্রকাশ করেননি। খবর বিবিসির।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ম ন ব ধ বস ত কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।

শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।

মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ