পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ওমানে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। আজ শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তেহরান বলছে, এদিনই এ বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চায় তারা।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবাইকে অবাক করে ঘোষণা দেন—ওমানে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে। উপসাগরীয় দেশ ওমান এর আগেও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ও ইরানের মধ্যে আলোচনার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতার কাজ করেছে।

গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় বসেন ট্রাম্প। এর আগে তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এবারও তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থা নিয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিধর দেশ ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পকে হুমকি বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েল।

এরই মধ্যে আজ ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইরানকে হুমকি না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে আলোচনায় যুক্ত থাকতে তেহরানের সিদ্ধান্তকে মূল্যায়ন করা। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগেরি বলেছেন,‘আজ আমরা অন্য পক্ষের উদ্দেশ্য মূল্যায়ন করতে চাই এবং (সমস্যার) সমাধান করতে চাই।’

এর আগে গত ৩০ মার্চ ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘তারা (ইরান) যদি একটি চুক্তি না করে, তাহলে দেশটিতে বোমাবর্ষণ করা হবে।’এরপর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী শামখানি বলেন, ওয়াশংটন যদি আন্তরিক উদ্দেশ্য ও সদিচ্ছা নিয়ে আলোচনায় আসে, তাহলে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পথ পরিষ্কার ও সহজ হবে।

এ ছাড়া হুমকি দিয়ে আলী শামখানি বলেন,ইরান বাইরের অব্যাহত হুমকি ও সামরিক হামলার ঝুঁকিতে থাকলে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) থেকে পরিদর্শকদের বহিষ্কার,সংস্থাটিকে সহযোগিতা বন্ধ করাসহ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

ইরান বরাবরই বলে আসছে, পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় তারা। তবে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করছে বলে সন্দেহ পশ্চিমাদের। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে একটি চুক্তি করতে রাজি হয় তেহরান। ওই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তাদের ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি সীমিত করবে। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে বৈশ্বিক অর্থনীতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা কয়েস গ্রেপ্তার

সিলেটে আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাউল ইসলাম কয়েসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ নগরীর জিন্দাবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ বসন্তপুর গ্রামের নিমার আলীর ছেলে। বর্তমানে সিলেট এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকায় বাস করেন।

পুলিশ জানায়, মিসবাউল ইসলাম কয়েসের বিরুদ্ধে মারামারি, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার আইনে সাতটি মামলা আছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা রয়েছে ৬টি, দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা মোমেনের প্রভাব খাটিয়ে টিলা কাটা, জমি দখলসহ নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, গ্রেপ্তার কয়েসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ