লাল-সবুজের জার্সিতে খেলবেন সামিত, জানিয়ে দিলেন আনুষ্ঠানিক সম্মতি
Published: 11th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে আরেক প্রবাসী ফুটবলারের আগমন প্রায় নিশ্চিত। কানাডা-প্রবাসী মিডফিল্ডার সামিত সোম জানিয়ে দিয়েছেন তিনি দেশের হয়ে খেলতে প্রস্তুত!
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সূত্রে জানা গেছে, ২৭ বছর বয়সী সামিত সোম আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ফেডারেশনকে ই-মেইলের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্ত জানান এই ফুটবলার। তার সম্মতিতে এবার শুরু হচ্ছে পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া। জানা গেছে আগামীকাল রোববার থেকেই শুরু হবে পাসপোর্ট তৈরির কাজ।
বাংলাদেশের পরবর্তী আন্তর্জাতিক ম্যাচ আগামী ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে। বাফুফে চায় এর আগেই সামিতের সব কাগজপত্র ও ফিফার ছাড়পত্র সম্পন্ন করে তাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করতে। জানা গেছে, সামিতও এই ম্যাচেই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে অভিষিক্ত হতে আগ্রহী।
আরো পড়ুন:
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ইমরুল হাসান
ঈদের শুভেচ্ছা বার্তায় যা বললেন হামজা-জামালরা
কে এই সামিত সোম?
জন্ম তার কানাডায়। পিতা-মাতা উভয়েই বাংলাদেশি। বর্তমানে তিনি কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কালাভরি এফসির হয়ে খেলছেন। এছাড়া কানাডার হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ (৭ ম্যাচ), অনূর্ধ্ব-২১ (৪ ম্যাচ) ও জাতীয় দলেও (২ ম্যাচ, ২০২০) খেলেছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও কানাডার হয়ে খেলায় সামিতের জাতীয় দলে খেলার আগে প্রয়োজন হবে ফিফার ছাড়পত্র। তবে যেহেতু ফিফার নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে খেলোয়াড়রা জাতীয়তা পরিবর্তন করতে পারেন, তাই খুব বেশি জটিলতা হবে না বলেই মনে করছে বাফুফে।
বাংলাদেশ দলে প্রবাসী ফুটবলারদের ধারাবাহিকতা:
সামিত সোম হচ্ছেন সর্বশেষ সংযোজন, যাঁরা দেশের বাইরে জন্ম নিয়েও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে এসেছেন। শুরুটা করেছিলেন ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া ২০১৩ সালে। এরপর ফিনল্যান্ড থেকে এসেছেন তারিক কাজী। আর সবশেষ চমক ছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরী। যিনি গেল ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই মুগ্ধ করেন সবাইকে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল র প রব স
এছাড়াও পড়ুন:
চাল না পেয়ে জেলেদের ইউপি পরিষদ ঘেরাও
বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ জেলে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জালিয়াঘাটাস্থ সরল ইউপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন জেলেরা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ওই ইউপি কার্যালয় ঘেরাও করেন তারা। এ সময় বিক্ষুব্ধ জেলেরা সরল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তারের অপসারণ ও বিচার দাবি করেন।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নে ৬৯১ জন জেলের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসের জন্য ৮০ কেজি করে ৩৩ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার ২৬ টন চাল উত্তোলন করে বাকি চাল আত্মসাৎ করেছেন বলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নুরুল ইসলাম নামের এক জেলে। রোববার জেলেদের চাল বিতরণের নির্ধারিত তারিখ ছিল। পূর্ব নির্ধারিত সময়ে কয়েকশ জেলে পরিষদে চাল নিতে গেলে তাদের ফেরত দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা।
জেলে নুরুল ইসলাম জানান, জেলেদের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ হলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একবার ৩২ কেজি চাল দিয়ে বাকি চাল আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে অনেক জেলে সেই ৩২ কেজিও পাননি। চাল না পেয়ে তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরল ইউনিয়নের জেলে মনির উদ্দিন, মোহাম্মদ তৈয়ব, বাবুল দাশ, আবদুল আজিজ, মোহাম্মদ হাসানের ভাষ্য, মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও কাউকে কাউকে ২৮ কেজি ও ৩২ কেজি চাল দেন। অধিকাংশ জেলেকে চাল না দিয়ে ফেরত দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরিবের জন্য বরাদ্দ করা ভিজিএফের চাল অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, সরল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তারকে অনিয়ম দুর্নীতিতে সহযোগিতা করছেন সরল থেকে বদলি করা ইউপি সচিব হারুন। কিছু দিন অরুণ জয় ধর নামে শীলকূপ ইউনিয়নের সচিবকে সরল ইউনিয়নের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হলেও বর্তমানে রহিম উল্লাহ নামে একজনকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এত কিছুর পরও পাসওয়ার্ডসহ পুরো নিয়ন্ত্রণ হারুনের হাতে। সরলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজেকে সরকারের একজন সচিবের চাচি বলেও পরিচয় দিচ্ছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার জানান, জেলেদের জন্য তিনি ২৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি ৩৮ কেজি করে দিয়েছেন। যেসব জেলে এখনও চাল পাননি, তারাও চাল পাবে। সেলিম নামে একজন ইউপি সদস্য লোকজনকে উস্কে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, সরল ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।