ব্যাংকিং খাতে পাঁচ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে: গর্ভনর
Published: 11th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশে ব্যাংকিং খাত মানি লন্ডারিংয়ের বড় ভিকটিম। বড় বড় কিছু গ্রুপ ও পরিবার অর্থ পাচার করে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। এর পরিমাণ আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে প্রায় পাঁচ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের বড় একটি গ্রুপ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে।
‘অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সমসাময়িক ব্যাংকিং ইস্যু’ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গর্ভনর এসব তথ্য তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পাবেন। কয়েকটি দেশে পাচারের অর্থে কেনা সম্পদ জব্দ করার চেস্টা করছি। ভবিষ্যতে যেন আর অর্থ চুরি ও পাচার না হয়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
গর্ভনর বলেন, ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লুটপাটে জড়িত থাকার সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে তা আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঢাকার পর চট্টগ্রাম বড় ইউনিট উল্লেখ করে গর্ভনর বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের একটি বড় জায়গা আছে। তাই এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের মূল দায়িত্ব সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য নিয়ে আসা। শেয়ারবাজার ও রিজার্ভ স্থতিশীল আছে। আমরা স্বস্তির জায়গায় চলে এসেছি। রপ্তানি বাড়ছে। মূল্যস্ফিতি এখন সহনীয়। কোনো সংকট আছে বলে মনে করি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত এলএনজি আমদানি হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফ্যাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব য ক ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে এক কার্ডেই মিলবে সব সেবা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরকে স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এ কার্ড বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
এতে একটি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী বিভাগ, হল, লাইব্রেবি, মেডিকেল সেন্টারসহ প্রয়োজনীয় সব সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালকের কক্ষে অনুষ্ঠিত স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
দুর্বৃত্তদের কবলে ইবি ছাত্রী, ইজিবাইকসহ মালামাল ছিনতাই
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ইবিতে শাটডাউন কর্মসূচি
সভায় স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে সভায় অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মনজুরুল।
এ সময় স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত কমিটির সদস্য ও ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, কমিটির সদস্য-সচিব ও আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ আব্দুস সাকির মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিস্টেম অ্যানালিস্ট নাঈম মোরশেদের সঞ্চালনায় কমিটির সদস্য-সচিব একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন এবং এ প্রযুক্তির টেকনিক্যাল ও এপ্লিকেশন বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়াও আইসিটি সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হাফিজুর রহমান লাইব্রেরিতে বর্তমান অটোমেশন সিস্টেম বিষয়ে ডেমোস্ট্রেশন প্রেজেন্ট করেন। আরএফআইডি কার্ড ব্যবহার করে কিভাবে এই সিস্টেমকে আরো উন্নত করা যায়, সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
আইসিটির সেলের পরিচালক ও স্মার্ট আইডি (আরএফআইডি) কার্ড প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী বলেন, “অটোমেশন এবং প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে আরএফআইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এই কার্ড বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।”
তিনি বলেন, “প্রত্যেক শিক্ষার্থীর একটা ইউনিক আইডি নাম্বার থাকবে, যেটা সে সব জায়গায় ব্যবহার করতে পারবে। একটা কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী বিভাগ, হল, লাইব্রেরি, মেডিকেল সেন্টারসহ সব জায়গায় প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবে। আলাদা-আলাদা কার্ড লাগবে না। ভবিষ্যতে এটি উন্নত করে ক্যাশলেস ব্যবস্থায় ফি প্রদানের সঙ্গে এটাকে যুক্ত করা সম্ভব হতে পারে।”
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আরএফআইডি কার্ড বিষয়ে কমিটির সদস্যদের দিকনির্দেশনামূলক বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী