বন্দরে গনধর্ষনের শিকার কিশোরী
Published: 11th, April 2025 GMT
কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বন্দরে (১৬) বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী অনলাইন ডেলিভারিম্যান বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) কিশোরীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টায় পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়িস্থ জনৈক লক্ষি বাড়ি পিছনে ছাগল রাখার একচালা ঘরে ওই গনধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে অনলাইন ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করে। গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাত ১১ টার দিকে বন্দর চৌধুরী বাড়ি এলাকার কুতুবউদ্দিনের ছেলে টিপু সুলতান (২৬) একই এলাকার হাকিমের ছেলে সজিব হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুইজন মিলে নাসিম ওসমান মডেল স্কুল গেইটের সামনে থেকে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে জনৈক লক্ষি বাড়ি পিছনে ছাগল রাখার একচালা ঘরে নিয়ে মুখ ও হাত পা বেঁধে জোর পূর্বক ভাবে ৪ নরপশু ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ।
বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীর মা এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দুই দিন আগে গত বুধবার অভিযুক্ত টিপু সুলতানকে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার মা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ এ অভিযোগেরও তদন্ত করছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গুলেন ব্যারি সিনড্রোম কেন হয়, চিকিৎসা কী
গুলেন ব্যারি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে জিবিএস নামটি একটু অপরিচিত হলেও রোগটির প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে নেহাত কম নয়। যেকোনো বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে জীবাণু–প্রতিরোধী ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিক আচরণের ফলে এ রোগের উৎপত্তি হয়।
‘ক্যাম্পাইলো ব্যাকটর জেজুনি’ নামের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত ডায়রিয়ার রোগী বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত সর্দি-জ্বরের রোগীরা ইমিউন সিস্টেমের জটিলতার কারণে পরবর্তী সময়ে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
কীভাবে বুঝবেন
ডায়রিয়া বা ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের প্রায় দুই সপ্তাহ পর রোগী হঠাৎ দুই পায়ে দুর্বলতা বোধ করেন। এ দুর্বলতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে ওপরের দিকে বিস্তার লাভ করে মেরুদণ্ড, দুই হাত, বুকের মাংসপেশি, এমনকি মুখের মাংসপেশিতে ছড়িয়ে পড়ে। কখনো কখনো দুবলর্তা এত বেশি হয় যে রোগী হাত–পায়ের আঙুলও সামান্য পরিমাণ নাড়াতে পারেন না।
বুকের মাংসপেশির দুবর্লতার কারণে শ্বাসকষ্ট হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালের আইসিইউ, অর্থাৎ নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে স্থানান্তর করতে হয়। না হলে রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে। জিবিএস রোগীর এত দুর্বলতা সত্ত্বেও সাধারণ অনুভূতি, স্মৃতিশক্তি, পায়খানা-প্রস্রাবের অবশ্য কোনো সমস্যা হয় না এবং রোগী কখনোই চেতনা হারান না।
চিকিৎসা কী
এ ধরনের রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হবে। নিউরোলজিস্ট বা স্নায়রোগবিশেষজ্ঞ রোগের উপসর্গ, শারীরিক পরীক্ষা, এনসিএস নামের স্নায়ুর পরীক্ষা ও মস্তিষ্কের রস বিশ্লেষণ করে রোগটি নির্ণয় করেন।
রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস, নাড়ির গতি, রক্তচাপ ইত্যাদি সব সময় লক্ষ্য রাখতে হয়। যদি শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, তবে তাৎক্ষণিক রোগীকে আইসিইউতে স্থানান্তর করতে হয়। নিয়মিত হাত-পায়ের ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা, রোগীকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
এ রোগের নির্দিষ্ট চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্লাজমাফেরোসিস বা আইভি ইমিউনো গ্লোবিন দিয়ে এ রোগের চিকিৎসা করা হয়। কোনো কোনো রোগীর পুরোপুরি আরোগ্য পেতে প্রায় এক বছর লেগে যায়। উপসর্গ শুরুর দুই সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এরপর ইমিউনোগ্লোবিনের কর্যকারিতা থাকে না।
জিবিএসের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাভ করেন। আর ৫-১০ শতাংশ রোগীর মধ্যে কিছু না কিছু শারীরিক দুর্বলতা স্থায়ীভাবে থেকে যায়। মৃত্যুর হার ৫-৬ শতাংশ। মনে রাখবেন, সাধারণত কোনো সংক্রমণ যেমন ডায়রিয়া বা শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের দু–তিন সপ্তাহ পর জিবিএসএর লক্ষণগুলো দেখা দেয়। কখনো কখনো টিকা দেওয়ার পরও এ রোগ হতে পারে।
আরও পড়ুনমস্তিষ্কের জটিল রোগ মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস কেন হয়, উপসর্গ ও চিকিৎসা কী২৭ মার্চ ২০২৫