লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত রং মিস্ত্রির মৃত্যু
Published: 11th, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে কুপিয়ে আহত করা রং মিস্ত্রি ইউছুফ হোসাইন (৩৫) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে মারা যান তিনি। সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রী রুমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ৫ এপ্রিল সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার রাজিবপুর এলাকায় ইউছুফকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
নিহতের স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, “উত্তর রাজিবপুর এলাকার নির্মাণ শ্রমিক হারুনুর রশিদের কাছে ইউছুফ ৫ হাজার টাকা পেতেন। গত ৪ এপ্রিল রাতে মোবাইল ফোনে হারুনের কাছে ইউছুফ পাওনা টাকা থেকে ১ হাজার টাকা চান। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন ইউছুফের বন্ধু ওমর তাকে ডেকে নিয়ে যান হারুনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য। স্থানীয় বাবুলের দোকানের সামনে হারুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইউছুফের ফেটে আঘাত করেন। এতে ইউসুফ জ্ঞান হারান।”
আরো পড়ুন:
শামুক সংগ্রহে গিয়ে নদীতে ২ জনের মৃত্যু
মাতামুহুরী নদীতে দুই শিশুর মৃত্যু, যুবকের লাশ উদ্ধার
তিনি আরো বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে ওমরসহ স্থানীয়রা ইউছুফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল নিয়ে যান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
রুমা আক্তার বলেন, “আমার তিনটি সন্তান এতিম হয়ে গেল। তাদের নিয়ে আমি কার কাছে যাবো। আমার স্বামীকে হারুন কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি তার বিচার চাই।”
নিহতের বোন সুমি আক্তার বলেন, “পাওনা টাকা চাওয়ায় আমার ভাইকে হারুন ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”
ঘটনার পর থেকে হারুনুর রশিদ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “মোবাইল ফোনে ঘটনাটি আমাকে জানানো হয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ইউছ ফ
এছাড়াও পড়ুন:
আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চায় ঢাবি ছাত্রদল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান— এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির কাজে যুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন ধরে আনন্দমুখর পরিবেশে এ কার্যক্রম চললেও শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু দুর্বৃত্ত অনুষদ প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে তা ভস্ম করে দিয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা এবং ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্টদের মুক্ত পদচারণার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদল এর আগে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি তার সত্যতা প্রমাণ করে প্রতি একটি ভয়াবহ বার্তা দিয়ে গেল।’
ঢাবি ছাত্রদল বলেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীরা এখনো আবাসিক হলগুলোতে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিনা বাধায় চলাফেরা করছে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার মাধ্যমে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছে ঢাবি ছাত্রদল।