নিজে বিদ্যুৎ বিল দেননি, উল্টো বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ কঙ্গনার
Published: 11th, April 2025 GMT
বরাবরই নিজের কর্মকাণ্ড কিংবা বেফাঁস মন্তব্যের কারণে সংবাদের শিরোনামে থাকেন বলিউড অভিনেত্রী ও বিজেপির সংসদ সদস্য কঙ্গনা রনৌত। সম্প্রতি হিমাচলের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আনেন তিনি। অভিযোগ, বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও এক লাখ রুপি বিল এসেছে তাঁর। এবার কঙ্গনার অভিযোগের জবাব দিয়েছে হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ড। তারা জানিয়েছে, এ অভিযোগ মিথ্যা, উল্টো দুই মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে কঙ্গনার।
সম্প্রতি এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কঙ্গনা অভিযোগ এনে বলেন, ‘চলতি মাসে আমার মানালির বাড়িতে এক লাখ রুপি ইলেকট্রিক বিল এসেছে। যেখানে আমি থাকিও না। কতটা দুর্দশা দেখুন। আমি এগুলো পড়ি আর লজ্জা পাই এটা ভেবে যে, কী চলছে হিমাচলে। আমাদের রাজ্যকে ওদের থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই।’
কঙ্গনার এমন বিস্ফোরক অভিযোগের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সভাপতি সন্দীপ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, কঙ্গনা রনৌত যে ১ লাখ রুপির বিলের অভিযোগ এনেছেন, তা মিথ্যে। সভাপতির কথায়, ‘জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিল পরিশোধ না করায় ৯০ হাজার রুপির বিল পাঠানো হয়েছে ম্যাডামকে। দুই মাসের বিল বাবদ হয়েছিল ৯০ হাজার রুপি, তবে নির্ধারিত সময় অতিক্রম করায় জরিমানা হিসেবে অতিরিক্ত ৩২ হাজার ২৮৭ রুপি যুক্ত হয়েছে। দুই মাসের বকেয়া ও জরিমানা যোগ করলে সেটা ৯১ হাজার রুপির কিছুটা বেশি দাঁড়ায়। মোটেই তা ১ লাখ রুপি হয় না। তা ছাড়া তিনি যদি সময়মতো বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে দিতেন, তাহলে তাঁর কাছে ৫৫ হাজার রুপির বিলই যেত।
লোকসভায় বিজেপির সংসদ সদস্য কঙ্গনা রনৌত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের
আজ রোববার রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। এর আগে এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন তারা।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধ থাকা কুয়েটের প্রধান গেটের সামনে জড়ো হন। কুয়েট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা বিকেলে ৩টার দিকে আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রবেশ করেন। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে যান। সেখানে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। শিক্ষকরা তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন যে, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম ও হলগুলো খোলা সম্ভব নয়।
শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, হল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে বাইরে টিউশনি করেন। তারা টিউশনি করতে পারছেন না। তারা রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষ যদি দাবি পূরণ না করে তাহলে তারা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।
কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার জন্য লিখিত একটি আবেদন জানিয়েছে। বিষয়টি শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপাচার্যকে জানাচ্ছেন। তবে সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসের দুই গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।