বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জাকির হোসেন মিলনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য ও ‘দেশমাতা ফাউন্ডেশন’ এর প্রধান সমন্বয়ক ব‍্যারিস্টার আবু সায়েম।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) গাজীপুরের টঙ্গী উপজেলার মাজুখান গ্রামে জাকির হোসেন মিলনের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্যারিস্টার আবু সায়েম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর সদস্য সচিব ও ‘দেশমাতা ফাউন্ডেশন’ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘নিউজ টুয়েন্টিফোর’ এর নির্বাহী সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম ফরিদ প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি

ফেসবুকে জিততে পারলে মাঠেও জিতবেন: এম নাসের

সাক্ষাতের সময় ব্যারিস্টার আবু সায়েম জাকির হোসেন মিলনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তার সন্তানদের লেখাপড়ার খোঁজখবর নেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই অসহায় পরিবারের পাশে আজীবন থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

এছাড়া ‘দেশমাতা ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে শহীদ মিলনের দুই কন্যা সন্তানের জন্য মাসিক ‘শিক্ষা বৃত্তি’ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

২০১৮ সালের ৬ মার্চ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় জাকির হোসেন মিলনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর রাজধানীর শাহবাগ পুলিশ ফাঁড়িতে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। রিমান্ড শেষে মিলনকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কারাগারে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান জাকির হোসেন মিলন।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন র পর ব র র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি ছুটির দিনে শিশু আদালতের কার্যক্রম চলমান রাখতে নির্দেশনা

সরকারি ছুটির দিনগুলোতে শিশু আদালতের কার্যক্রম চলমান রাখতে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য, শুক্র/শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে শিশুদের গ্রেপ্তার বা আটক করার পর তাদের সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থাপন না করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে হাইকোর্ট বিভাগের নজরে এসেছে। অথচ এসব শিশুর জামিন, রিমান্ড, হেফাজত, বয়স নির্ধারণসহ অন্তর্বর্তীকালীন কোনো আদেশ দেওয়ার বিষয়ে এসব আদালতের আইনগত এখতিয়ার না থাকায় ওই শিশুদের গ্রহণ ও তাদের বিষয়ে যেকোনো আদেশ/সিদ্ধান্ত প্রদানে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটরা অপারগতা প্রকাশ করে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে শিশু আদালতের কার্যক্রম চলমান রাখাসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।

নির্দেশনায় বলা হয়, ২০১৩ সালের শিশু আইন (সংশোধিত ২০১৮) এবং মো. হৃদয় বনাম রাষ্ট্র মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে সরকারি কার্যদিবসের ন্যায় সাপ্তাহিকসহ অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতে উপস্থাপিত আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর (ভিকটিম/সংবাদদাতা/সাক্ষী) হেফাজত এবং আটক শিশুদের জামিন, রিমান্ড, বয়স নির্ধারণ, হেফাজতসহ অন্তর্বর্তী যেকোনো দরখাস্ত শিশু আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক আদালতে উপস্থিত হয়ে কিংবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক ২০২০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইনের বিধিবিধান অনুসরণ করে শুনানি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করবেন।

অপর নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি কার্যদিবসের ন্যায় ছুটির দিনগুলোতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিশু আদালতের নির্দেশে আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু (ভিকটিম/সংবাদদাতা/সাক্ষী) বা আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুর জবানবন্দি দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট লিপিবদ্ধ করতে পারবেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর (ভিকটিম/সংবাদদাতা/সাক্ষী) জবানবন্দি রেকর্ড প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তাদের জিম্মা হেফাজতসহ অন্য যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান এবং আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুকে আটক/গ্রেপ্তারের পর পুলিশ কর্তৃক জামিন প্রদান না করা হলে ওইরূপ শিশুর জবানবন্দি রেকর্ড, তার বয়স নির্ধারণ, রিমান্ড, নিরাপদ হেফাজতসহ যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি কার্যদিবসের ন্যায় সাপ্তাহিক ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতে অভিযুক্ত/আটক করা শিশুকে সংশ্লিষ্ট শিশু আদালতে উপস্থাপন করবে।

অপর নির্দেশনায় বলা হয়, আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ও আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুদের হেফাজত, জামিন, রিমান্ড, বয়স নির্ধারণসহ যেকোনো অন্তর্বর্তী বিষয়ে সরকারি কার্যদিবসের ন্যায় সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও সংশ্লিষ্ট শিশু আদালত ২০১৩ সালের শিশু আইন (সংশোধিত ২০১৮) মো. হৃদয় বনাম রাষ্ট্র মামলায় দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করবেন।

২০১৩ সালের শিশু আইনের (সংশোধিত ২০১৮) বর্তমান অস্পষ্টতা ও অসংগতি দূর করতে শিশু আইন সংশোধন কিংবা এই কোর্ট (হাইকোর্ট বিভাগ) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো কার্যকর/বহাল থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাভোকে দেখেই ‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেন ধোনি
  • রপ্তানির বিকল্প পথ কমল, বাড়বে চাপ
  • সরকারি ছুটির দিনে শিশু আদালতের কার্যক্রম চলমান রাখতে নির্দেশনা