সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও জুলাই স্পিরিট পরিপন্থী কার্যক্রমে লিপ্ত থাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল শাখার দুই নেতাকে সংগঠন থেক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০এপ্রিল) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল জেলা শাখার আহ্বায়ক রাফায়েতুল হক তমাল ও সদস্য সচিব মো. শাফায়াত উল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

শুক্রবার (১১এপ্রিল) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল জেলা শাখার সদস্য সচিব সাফায়েত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াই জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক তুহিন বিন আ.

রাজ্জাক ও হাসিব শাহাবাদ। 

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড এবং জুলাই স্পিরিট পরিপন্থী কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নড়াইল জেলার নিম্নোক্ত দাায়ত্বশীলদের অব্যাহতি প্রদান করা হলো। তাদের কোনো কার্যক্রমের দায়ভার সংগঠন গ্রহণ করবে না। 

পাশাপশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নড়াইল জেলার সব স্তরের নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা ও জুলাই স্পিরিট পরিপন্থী কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সতর্ক করার সঙ্গে নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অব্যাহতি প্রাপ্তদের সঙ্গে সাংগঠনিক কোনো যোগাযোগ ও লেনদেন না করার পরামর্শ প্রদান করা হলো।’

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

আদমজী ইপিজেডে কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে কয়েকটি পোশাক কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৬ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরো ২শ’ থেকে ২শ’ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার সকালে আদমজী ইপিজেডের নিরাপত্তা পরিদর্শক মুনসুর হাওলাদার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আটককৃত ৪৫ জনকে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। রবিবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি বলেন, মামলায় ইপিজেডে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও নিরাপত্তা কর্মীদের মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ৪৫ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদনও করা হবে। এ মামলায় এজাহারনামীয় আরেকজন পলাতক রয়েছে। এছাড়া এই মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত শনিবার বিকেলে কারখানা বন্ধ রেখে ‘মার্চ ফর গাজা’ মিছিলে যোগ না দেওয়ায় কয়েকশ’ লোক ইপিজেড এলাকায় ঢুকে পোশাক কারখানাগুলোতে হামলার ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় যৌথবাহিনী ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা ইপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোং লিমিটেড, ইউনিক বিডি লিমিটেড, সিম্মা ইউনিট-২ এবং অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেডে ভাঙচুর চালান।

অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেড কারখানাটির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধরও করেন। কারখানা বন্ধ না করলে কারখানা জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়ে কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেন তারা। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করে। 

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান রবিবার বলেন, ইপিজেডে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদের মধ্যে ৩৮ জনকে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে হাজির করা হলে শুনানী শেষে ৩৮ জনকেই জামিন দেয়া হয়েছে।

৪৫ জনের মধ্যে বাকী ৭ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে শিশু আদালতে হাজির করা হলে জামিন মঞ্জুর করা হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ