ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’ সিনেমা। মুক্তির পর থেকে হইচই পড়ে গেছে চারদিকে। এ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হলো মেহেদী হাসান হৃদয়ের।

সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি অভিনয়শিল্পী, নির্মাতারাও সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করছেন। বক্স অফিসেও ভালো করছে এটি। এরই মধ্যে সিনেমাটির বাজেট, শাকিব খানের পারিশ্রমিক নিয়ে কথা বলেছেন নির্মাতা হৃদয়।

২০১২ সাল থেকে টিভি নাটকে কাজ করছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। ‘বরবাদ’ তার প্রথম সিনেমা। আর অভিষেকেই ধামাকা দেখালেন। এই সাফল্যে কেমন অনুভব করছেন?   

আরো পড়ুন:

শাকিবের হাত ধরে ইধিকার ভাগ্যবদল

‘বিদায় রাফাহ্-গাজার জান্নাতি শহীদেরা’

এ প্রশ্নের জবাবে মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, “অনেক ভালো লাগতেছে। এই ভালো লাগাটা ঠিক বলে বোঝানো যাবে না। নির্মাতা, প্রযোজক, আর্টিস্ট অর্থাৎ সিনেমার সঙ্গে জড়িত সকলের চাওয়া থাকে সিনেমাটি সবাই দেখুক। সুতরাং ওই জায়গায় আমরা পেরেছি।” 

রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ‘বরবাদ’ সিনেমা। এটি নির্মাণে ঠিক কত টাকা ব্যয় হয়েছে? এ প্রশ্ন রাখতেই হৃদয় বলেন, “প্রযোজককে এ প্রশ্ন করলে ভালো হতো। আমি একদম সঠিকভাবে বলতে পারব না, এত টাকাই খরচ হয়েছে। তবে ১৫-১৬ কোটি টাকা তো হবেই।” 

দেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা কমে গেছে। সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্স মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১২৩টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে ‘বরবাদ’ সিনেমা। এত টাকা কি উঠানো সম্ভব? উত্তরে হৃদয় বলেন, “আমি মনে করি, সম্ভব। মানুষ যেভাবে সিনেমাটি দেখতেছেন, তাতে টাকা উঠে যাবে। এরকম ভালো না চললে টাকাটা উঠতো না।”

‘বরবাদ’ সিনেমার জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন মেগাস্টার শাকিব খান? প্রশ্নটি শুনে খানিকটা চুপ হয়ে যান নির্মাতা। তারপর হৃদয় বলেন, “খুব সম্ভবত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।”

‘বরবাদ’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল। এছাড়াও অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, ইন্তেখাব দিনার, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ষবরণ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকছে নানা আয়োজন

পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ কে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন।

এবারের শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থেকে ‘নববর্ষ শোভাযাত্রা’ করা হয়েছে। শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো’। এর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকজ শিল্প প্রদর্শনী ও প্রকাশনা উৎসবসহ থাকছে নানা নতুন আয়োজন।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ঘুরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। নিজেদের দক্ষতা ফুটিয়ে তুলে রংবেরঙের পুতুল, ফুল, টেরাকোটা শিল্প, মাছ, চরকি, অরিগ্যামি পাখি, লোকজ পাখি ও বিভিন্ন আকারের পাখির অবয়ব প্রস্তুত করেন তাঁরা।  

দেখা যায় রংতুলি দিয়ে নানা রকম ছবি আঁকছেন তাঁরা, কেউবা গভীর মনোযোগ দিয়ে জলরঙের ছবি আঁকতে মগ্ন। অঙ্কনশৈলীতে তাঁরা নানা দৃশ্যপট ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেকে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করছেন বিভিন্ন কাঠামো। তৈরি করা হচ্ছে শাপলা ফুল, সূর্যমুখী ফুল, পাখির মকুট, চরকি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা, পাখি, ষাঁড়, গরুর গাড়িসহ গ্রামবাংলার বিভিন্ন শিল্পকে ফুটিয়ে তুলছেন।

ঈদের পর থেকেই বাংলা নতুন বর্ষকে বরণ করতে নানা পরিকল্পনা নেয় চারুকলা অনুষদ। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর রোববার (৮ মার্চ) থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকেরা কাজ শুরু করেন।

নতুন যা থাকছে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এবারই প্রথমবারের মতো বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে প্রায় ৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিকেল পাঁচটা থেকে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টে অংশগ্রহণ করবে জনপ্রিয় সংগীত ব্যান্ড ‘অ্যাশেজ’, ‘চান্দের গাড়ি’ ও ‘মেটাল ইরর’। আয়োজনের সহযোগিতায় রয়েছে জনপ্রিয় মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্র্যান্ড এয়ারটেল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বৈশাখী শোভাযাত্রা শুরু হবে। এরপর শোভাযাত্রাটি রায়সাহেব বাজার হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হবে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বিজ্ঞান ভবন প্রাঙ্গণে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। সকাল ১০টা ৪০–এ শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনা থাকবে।

দুপুর ১২টায় নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে ‘ভেলুয়া সুন্দরী’ পালা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা তিনটায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে ‘কিম্ভূত’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘অফসাইড’ এবং একাধিক একক শিল্পী পরিবেশনায় অংশ নেবেন। শেষে বিকেল পাঁচটায় বাইরে থেকে আমন্ত্রিত শিল্পীদের কনসার্টের মাধ্যমে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ