লক্ষ্মীপুর ও কিশোরগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজবাড়ী সদরে সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে কিশোরীর পরিবার মামলা করলে আট মাস পর গ্রেপ্তার করা হয় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে।
১৮ মার্চ বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জে ইউনিয়নের চরউভূতি এলাকায় ৬ বছরের শিশুকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণের চেষ্টা করে রিপন হোসেন। রায়পুর উপজেলার চরমোহনা এলাকায় শিশুকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে মনির হোসেন। নির্যাতনের শিকার দুই শিশুর পরিবার বুধবার থানায় মামলা করলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে এক কিশোর। অসুস্থ শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করলে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, অভিযোগ পেয়ে কয়েকজনের ছবি তুলে শিশুটিকে দেখানো হয়। সে এক কিশোরকে শনাক্ত করে। ওই কিশোরকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বারাইজুরি গ্রামের কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে একই গ্রামের আব্দুল কাদের। ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী ছেলে সন্তান জন্ম দেয়। সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে মামলা করে তার পরিবার। এরপর থেকে আব্দুল কাদের পলাতক ছিলেন। আট মাস পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর র্যাব-১০ তাঁকে গ্রেপ্তার করে সদর থানায় হস্তান্তর করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
সাগরপাড়ে বৈশাখী উৎসব, পর্যটকদের উচ্ছ্বাস
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে জমজমাট বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বৈশাখের প্রথম দিন সকাল থেকেই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী ও ইনানী পয়েন্টে ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ।
রঙ-বেরঙের পোশাক, মুখে হাসি আর হাতে পান্তা-ইলিশের থালা—সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট। সৈকতে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে এবং বৈশাখী মেলা বসেছে। লাবণী পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্মুক্ত মঞ্চ করা হয়েছে।
সবার প্রত্যাশা, নতুন বছর মানুষের জীবনে বয়ে আনবে অনাবিল আনন্দ। থাকবে না হিংসা-বিদ্বেষ, দুর্নীতি ও হয়রানি।
সকাল ১০টার পর থেকে সৈকতে ভিড় বাড়তে থাকে। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নানা বয়সের মানুষ যোগ দেন বৈশাখী উৎসবে।
ঢাকার বাসাবো থেকে আসা পর্যটক রণধীর দিব্য বলেছেন, সমুদ্র আর বৈশাখী উৎসব একসঙ্গে উপভোগ করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। কক্সবাজারে নববর্ষ উদযাপন অনেক আনন্দ দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের আহমদ বলেছেন, পহেলা বৈশাখে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সমুদ্র দেখতে এলাম। এ ধরনের উৎসব স্থানীয় পর্যটন শিল্পকে যেমন চাঙ্গা করে, তেমনই আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সবাইকে আরো গভীরভাবে যুক্ত করে।
পর্যটক ও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মীরা সার্বক্ষণিক পর্যটকদের সহায়তা করছেন।
বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেছেন, ঈদের পর সৈকতে এটি দ্বিতীয় বৃহৎ পর্যটক সমাগম। পহেলা বৈশাখে সৈকতে আনন্দ করতে পরিবার ও আপনজনদের নিয়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন বেড়াতে এসেছেন। তাদেরকে আমরা সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
১৪৩২ বঙ্গাব্দের বৈশাখী উৎসব ঘিরে কক্সবাজারে পর্যটকদের উপস্থিতি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। হোটেল-মোটেল, খাবারের দোকান ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায় চাঙাভাব দেখা দিয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আপেল মাহমুদ বলেছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন উৎসব উদযাপনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৈকতে প্রতিটি পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা আছেন। পর্যটকরা যে কারো অনিয়মের বিরুদ্ধে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। কেউ পর্যটকদের হয়রানির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/রফিক