সাভারে একইদিনে দুটি যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংকটাউন ব্রিজের উপরে সাভার পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়াও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের সিএনবির আগে রাজধানী পরিবহনে তিন ছিনতাইকারী যাত্রীবাহী বাসে ওঠে ধারালো ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছে থেকে নগদ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী সাভার প্রেস ক্লাবের সদস্য তায়েফুর রহমান জানান, আমি সাভার পরিবহনের একটি বাসে করে পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। বাসটি ব্যাংক টাউন বাসস্ট্যান্ডে থামানো হলে তিনজন যুবক বাসটিতে ওঠে। পরে বাসটি ব্যাংকটাউন ব্রিজের উপর পৌঁছালে নারী যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, গলার চেইন, কানের দুলসহ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নেমে যায়। 

তিনি আরও বলেন, ছিনতাইকারীরা আমার স্ত্রীর গলায় থাকা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের লকেটসহ এক ভরি ওজনের সোনার চেইন নিয়ে গেছে। এ সময় অন্যান্য নারী যাত্রীদের কাছ থেকে একইভাবে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমার ধারণা বাসটির চালক এবং সহকারী ছিনতাইকারীদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হলে ছিনতাইকারীদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে। 

সিএনবি এলাকায় যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বাসযাত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সিএনবির আগে রাজধানী পরিবহনে তিন যুবক বাসে ওঠে ধারালো ছুরির ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছে থেকে নগদ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়।

এছাড়াও ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ব্যাংক টাউন এলাকায় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

দিনেদুপুরে চলন্ত বাসে বারবার ছিনতাইয়ের ঘটনায় মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যাত্রীবাহী বাসে উঠতে ভয় পাচ্ছেন অনেকে। যাত্রীরা মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২ মার্চ দুপুরে দিকে সাভারের ব্যাংকটাউন এলাকায় রাজধানী পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ৪ এপ্রিল একই এলাকায় ইতিহাস পরিবহনের আরেকটি চলন্ত বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

একইস্থানে বার বার এরকম ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা জানান, ছিনতাইকারীদের ধরতে আমাদের সার্বক্ষণিক টহল টিম কাজ করছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তা‌রও করা হয়েছে। ঘটনার সময়ও গেন্ডা এলাকায় আমাদের পুলিশের টহল সদস্যরা কাজ করছিল। সাভার পরিবহনের বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি জানতে পেরেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই স বর ণ ল ক র ল ট চলন ত ব স পর বহন র নগদ ট ক এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।

শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।

মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ