আগামীকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে সমাবেশ করবে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের শাসনামলে দীর্ঘ ১৭ বছর ঐতিহাসিক এই মাঠে সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি বিএনপিকে।  

প্রায় দেড় দশক সময় পর এই মাঠে সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সর্বশেষ ২০০৮ সালে ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনী জনসভায় ফতুল্লা ডিআইটি মাঠের জনসভায় এসেছিলেন। সেটাই ছিলো ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে  বিএনপির যে কোন পর্যায়ের সমাবেশ।

আগামীকাল শনিবার বিকেল তিনটায় ফতুল্লা থানার ডিআইটি মাঠে সমাবেশ করবে ফতুল্লা থানা বিএনপি। সমাবেশকে ঘিরে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ফতুল্লা থানার পাঁচ ইউনিয়নে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। 

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে, উপস্থিত থাকবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু এবং সঞ্চালনায় থাকবেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র ড আইট

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামী আন্দোলনকে বাইপাস করে সংসদে যাওয়ার সুযোগ নেই: যশোরে চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ‘ইসলামী নামের দলকে বিভিন্ন সময়ে বোকা পেয়ে ধোঁকা দিয়ে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতার মসনদে গিয়ে আমাদের বারবার প্রতারিত করেছে। এখন যাঁরা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের বলতে চাই, ইসলামী আন্দোলনকে বাইপাস করে (পাশ কাটিয়ে) সংসদে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। ‘ছাত্র–জনতার বিপ্লবে সংগঠিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার এবং ফিলিস্তিনে ইজরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের’ দাবিতে যশোর জেলা ইসলামী আন্দোলন এই জনসভার আয়োজন করে।

জনসভায় সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘ক্ষমতার মসনদে গিয়ে দেশের টাকা পাচার করেছে, আমাদের মায়েদের বুক খালি হয়েছে। আমাদের গুম, খুন করা হয়েছে। এর পরিবর্তন আমাদের করতে হবে। গত ৫৩ বছর অনেক নিষ্পেষিত হয়েছি, আর হতে চাই না।’

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম আরও বলেন, ‘দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের দলের একজনও সংসদে যায়নি। তার মানে কি আমাদের শক্তি নাই? আমাদের দল দুর্বল? কোনো ধান্ধাবাজদের সংসদের যাওয়ার কোনো সিঁড়ি হয়নি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আর হবেও না। আমরা আওয়ামী লীগের শাসনও দেখেছি, বিএনপির শাসনও দেখেছি, জাতীয় পার্টিকে দেখেছি। আপনাদের এখন ইসলামের শাসন দেখা বাকি। বিগত ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই জনগণের ইচ্ছাকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে চায় দেশের জনগণ।’

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন যশোরের সভাপতি আবদুল আলিম মিয়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনটির নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়াল, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন যশোরের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল আলম, জয়েন্ট সেক্রেটারি এইচএম মহসিন, সহকারী সেক্রেটারি আবদুর রশিদ প্রমুখ।

বক্তব্য শেষে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঈদগাহ মোড় থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে মনিহার স্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লার সমাবেশে মিছিল নিয়ে কাউসারের যোগদান
  • জুতা পায়ে শহীদ মিনারে জনসভা করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা
  • সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা যাবে না: নুরুল হক
  • ইসলামী আন্দোলনকে বাইপাস করে সংসদে যাওয়ার সুযোগ নেই: যশোরে চরমোনাই পীর