কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চকলেট দেওয়ার কথা বলে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে (১৩) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব।

পুলিশ সুপার বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ প্রথমে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটির মায়ের অভিযোগে ভিত্তিতে পাকার মাথা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কিছু যুবকের ছবি তুলে এনে ভুক্তভোগী শিশুটিকে দেখালে সে অভিযুক্ত ছেলেটিকে শনাক্ত করে। একাধিক ছবি দেখালেও শিশুটি শুধু অভিযুক্তকেই দেখিয়েছে। পরে তাকে আটক করে থানায় আনা হয়।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত কিশোরের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাই তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ৯ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শিশুটির মা বিষয়টি টের পেয়ে রাত দেড়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চায় ঢাবি ছাত্রদল 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান—   এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির কাজে যুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন ধরে আনন্দমুখর পরিবেশে এ কার্যক্রম চললেও শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু দুর্বৃত্ত অনুষদ প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে তা ভস্ম করে দিয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা এবং ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্টদের মুক্ত পদচারণার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদল এর আগে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি তার সত্যতা প্রমাণ করে প্রতি একটি ভয়াবহ বার্তা দিয়ে গেল।’

ঢাবি ছাত্রদল বলেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীরা এখনো আবাসিক হলগুলোতে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিনা বাধায় চলাফেরা করছে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার মাধ্যমে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছে ঢাবি ছাত্রদল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ