ঝিনাইদহের শৈলকূপায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাড়ি ও দোকান বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার উমেদেপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বিষ্ণুপুর গ্রামের ইউপি সদস্য কপিল বিশ্বাসের সমর্থকদের সঙ্গে একই এলাকার রইচ উদ্দিনের সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। আজ শুক্রবার সকালে আবারো উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি বাড়ি ও দোকান। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মা-মেয়েকে উত্যক্তের অভিযোগ
মাইকিং করে দুই গ্রামের মানুষের সংঘর্ষ
রূপগঞ্জে যৌথবাহিনী-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, “এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলা হয়নি। কাউকে আটক করা যায়নি।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ শর্তে সেই বিটি মাঠে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার অনুমতি
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ তেঘরিয়া বিটি মাঠের মূল অংশের বাহিরে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শামসুন নাহার শিলা স্বাক্ষরিত এক পত্রে ১৭টি শর্ত জুড়ে দিয়ে একদিনের জন্য মাঠটিতে মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর আগে ১০ এপ্রিল বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা করা হলে মাঠটি নষ্ট হইতে পারে সেই আশঙ্কায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া বন্ধ করে দেয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি আয়োজিত বৈশাখী মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে এ নিয়ে বিবাদ তৈরি হয় প্রশাসনের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর।
গতকাল শনিবার দুপুরে তড়িৎগতিতে বিটি মাঠ পরিদর্শনে আসেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নিপুণ রায় চৌধুরী। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে কাফনের কাপড় পরার প্রয়োজন হলেও বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা হবেই বলে ঘোষণা দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গয়েশ্বর বৈশাখী মেলা করার চ্যালঞ্জ হিসেবে নিলে উপজেলা প্রশাসন ও বিএনপির মধ্যে মুখোমুখি হয়। পরে বৈশাখী মেলা করতে আবেদন করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক ১৭টি শর্ত দিয়ে মেলার অনুমোদন দেওয়া দিয়েছে। শর্তে বিটি মাঠের মূল অংশের বাহিরে মেলা করতে হবে। এক দিনের বেশি মেলা করা যাবে না। এই মেলায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কোনোভাবে সহযোগিতা না করার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে বৈশাখী মেলাটি বিএনপি নিজেরাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বৈশাখী মেলায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা হলে এর দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে।
এ ব্যপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ১৭টি শর্ত জুড়ে বৈশাখী মেলার অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে থেকে। এক দিনের জন্য মেলাটি হবে। যেহেতু মেলা আয়োজন নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ থাকবে। এছাড়াও বিএনপির আয়োজক কমিটির সদস্যরা নিরাপত্তা দিবেন।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া বলেন, শর্ত সাপেক্ষে এক দিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিটি মাঠ নামে কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এর কারনেই উপজেলা প্রশাসন অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিটি মাঠ নিয়ে মেলা হওয়াকে কেন্দ্র করে সোস্যাল মিডিয়ায় নানা সমালোচনা দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ এপ্রিল মাঠটিতে মেলার অনুমতি বাতিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া।