খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদীতে ডুবে রিয়া চাকমা ও পিয়াসি চাকমা নামের দুই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের নলছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দুই কিশোরীরই বাড়ি নলছড়া এলাকা। পিয়াসি ওই এলাকার বিদেশি চাকমা এবং রিয়া রূপায়ণ চাকমার মেয়ে। দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, দুই কিশোরী আরও তিনজনের সঙ্গে নদীতে শামুক খুঁজতে গিয়েছিল। এর একপর্যায়ে রিয়া চাকমা নদীতে তলিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে যায় পিয়াসি চাকমাও। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে নদীতে জাল ফেলে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ভাইবোন ছড়া এলাকার বাসিন্দা এবং ভাইবোন ছড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাতু মনি চাকমা বলেন, ‘পিয়াসি চাকমা আমাদের বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিহত রিয়া সম্পর্কে পিয়াসি চাকমার ফুফু। বিজু শুরুর আগমুহূর্তে দুজনের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমার মেয়ে বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি

‘সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতারণার শিকার আমার মেয়ে মেঘনা। ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা। তার দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়।’ মডেল মেঘনা আলমেরব বাবা বদরুল আলম সমকালকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মেঘনা ‘মিস বাংলাদেশ’ নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিল। তার মাধ্যমে দেশে–বিদেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজন, গুণী লোকজন আসতেন। ঢাকায় সেই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সব জানেন। তিনি দু’জনকে সহযোগিতা করেন। এরপর মেঘনার সঙ্গে বিদায়ী দূতের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ের প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর বিয়ে করতে চান। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তিনি।  

বদরুল বলেন, মেঘনার বসুন্ধরার বাসায় আসা–যাওয়া ছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেঘনা জানতে পারে তার স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ে রয়েছে। তখন সে আংটি ফেরত দেয়। সে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি। সৌদি দূতের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মেঘনা ফেসবুক এ সম্পর্কে কিছু লেখা পোস্ট করেন। এরপরই মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন দুহাইলান। 

মেঘনার বাবা আরও বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছে এটা জেনেও মেঘনা চেয়েছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু সেটা করেননি তিনি। উল্টো বিনা অপরাধে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতার চেষ্টা করা হলে শেষ পর্যন্ত হয়নি। 

এক প্রশ্নের জবাবে বদরুল বলেন, কেন আমার মেয়ে তাকে ফাঁসাবে। যদি সে অন্যায় করত তাহলে তার বিরুদ্ধে তো সুনির্দিষ্ট মামলা হত। আইন সবার জন্য সমান। আমরা এখন ন্যায় বিচার চাই। সরকার আমার মেয়ের নিরাপত্তা দেবে এটা আমার দাবি। 

মেঘনার বাবা বলেন, নর্থ–সাউথে পড়াশোনার সময় বসুন্ধরা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে মেঘনা থাকত। সেখানে মাঝে মাঝে আমরা যেতাম। পরিবারের অন্যরা বেইলী রোডে থাকি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমার মেয়ে বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি
  • এক ম্যাচ নিষিদ্ধ তাওহিদ হৃদয় মুখ খোলার হুমকি দিলেন কেন
  • সিলেটে কথা-কাটাকাটির জেরে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদল নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
  • শামুক সংগ্রহে গিয়ে নদীতে ২ জনের মৃত্যু