জয়পুরহাটে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, তিন নারীসহ গ্রেপ্তার ১০
Published: 11th, April 2025 GMT
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা, ট্যাপেন্টাডল ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পৌর এলাকার রেল কলোনির বস্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তিন নারীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ১০জন হলেন- সাহাদুল (৪৬), মানিক (৩৫), গোল্ডেন (৪৮), আব্দুল মজিদ (৩৫), ফেরদৌস মোল্লা (৩৫), আব্দুস সাত্তার (৫৪), রাব্বি হোসেন (২৬), নাজমা বেগম (৩৫), বিথি (৩৬) ও আকলিমা (৪৫)। তিন নারীকে নিয়মিত মামলা, আর বাকিদের ভ্রাম্যমাণ আদলতে জেল জরিমানা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রেল কলোনির বস্তিতে দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি করা হয়- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। বস্তির বিভিন্ন খুপরি ঘড়ে তল্লাশি চালিয়ে হাতেনাতে তিন নারীসহ ১০ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জয়পুরহাট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় মাদকব্যবসা করছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের হাতানাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম দকব
এছাড়াও পড়ুন:
হিংসা-বিদ্বেষবিহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অহিংসবাদ, সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ, এটাই আমরা গড়ে তুলতে চাই। এদেশ সবার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।
আজ রোববার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং এ জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা করতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। সমগ্র দেশের সম্প্রদায় সম্প্রতি রক্ষার জন্য যা কিছু করতে হয়, সেটা করতে সদায় প্রস্তুত থাকবো।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা সবাই মিলে এই দেশ ও জাতিকে একটা শান্তির জায়গা নিয়ে যেতে চাই। গৌতম বুদ্ধের বাণী এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না। সবার সমস্ত বিভিন্ন মত থাকতে পারে। অবশেষে আমরা সবাই সবাইকে যেন শ্রদ্ধা করি। একে অপরের বক্তব্য, মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে সেই অনুযায়ী কাজ করব।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অহিংসবাদ সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষ বিহীন দেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই একসঙ্গে এখানে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এই উদ্দেশ্যেই আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আমরা সবসময় এ দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা একসঙ্গে বাস করি। বাংলাদেশ একটা সম্প্রীতির দেশ। এদেশে হাজার হাজার বছর ধরে সব ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আমরা শান্তিতে বসবাস করে আসছি। সেটারই একটা প্রতিফলন আজকের এই অনুষ্ঠান। এটা শুধু সম্প্রীতি ভবন ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠান নয়, এখানে আমরা একটা সম্প্রীতির সমাবেশ করেছি। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ গোত্রের লোকজন আছে। আমরা আমাদের দেশটাকে এভাবেই দেখতে চাই।