সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানর কাছে পরিচয়পত্র পেশ উপলক্ষে সাক্ষাৎ করেছেন আবুধাবিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের উদ্যোগে এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আমিরাতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের সময় দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তার সদয় অনুভূতির জন্য রাষ্ট্রদূত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা পৌঁছে দেন এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ, দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তিতে চলমান সহযোগিতা আরো জোরদার করার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

উভয় দেশের জনগণের জন্য শান্তি কামনা করে রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।

তিনি একইসঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের স্বার্থের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির প্রতি তার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। 

সবশেষে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি শুভকামনা জানান।

‘এমবিজেড’ নামে পরিচিত মোহাম্মদ বিন জায়েদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আবু ধাবির প্রধান শাসকও। 

ঢাকা/ মুহাম্মদ শাহ জাহান/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রপত আম র ত র ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

নববর্ষ উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎশিল্পীদের

বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসব মেলা সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে হবিগঞ্জের মৃৎশিল্পীদের। দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে তৈরি করা মাটির খেলনা, পুতুল ও ব্যাংকসহ নানান জিনিসপত্র আগুনে পুড়িয়ে ও রংতুলির আঁচড় শেষে বৈশাখী মেলায় তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিল্পীরা। 
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই গ্রামে পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে মাটি দিয়ে তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, ব্যাংক, কলস, দইয়ের কাপ ও সরাসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। এসব জিনিসপত্র তৈরি করার পর তা রোদে শুকানো হচ্ছে। আবার কেউ কেউ রংতুলির আঁচড় দিচ্ছেন। পালপাড়ার ছোট-বড় ছেলেমেয়ে সবাই উৎসবের মতো করে এ কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। ছোট ছোট শিশুরাও তাদের বাবা-মায়েদের এই কাজে সহযোগিতা করছে। শিল্পীরা বলছেন, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরের এই সময়টাতেই তাদের ভালো আয় রোজগার হয়। 
স্থানীয়রা জানালেন, বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের ছড়াছড়ির কারণে এক সময়ে গ্রামগঞ্জের জনপ্রিয় মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন তাদের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এ কারণে মৃৎশিল্পীদের আগের সুদিন নেই। পালপাড়ায় একসময় এই পেশার 
সঙ্গে ৫০টিরও অধিক পরিবার জড়িত ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন মাত্র ১০ থেকে ১৫টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। উপকরণের দাম বাড়ায় এ কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তারা। 
পালপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষার্থী অনন্যা রানী পাল জানান, এটা আমাদের পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি মা-বাবাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন। কারণ, এই মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করেই তার পড়ালেখাসহ সংসারের খরচ চলে। 
রণজিত পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, এ পেশায় এখন টিকে থাকা মুশকিল। সরকার সহযোগিতা না করলেই অচিরেই এই পেশা থেকে নতুন প্রজন্ম মুখ ফিরিয়ে নেবে। 
ইতোমধ্যে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছে। আমরা যারা এই পেশায় রয়েছি, খুব কষ্টে আছি। আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। –বলছিলেন তুলসী রানী পাল। 
হবিগঞ্জ বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মৃৎশিল্প গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ। মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্র আধুনিকায়নে এবং মৃৎশিল্পীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ঋণ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা করতে চেষ্টা করবেন তারা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্র ও সমাজকে পথশিশুদের প্রতি মানবিক হতে হবে
  • চন্দনাইশের ‘হাতপাখা’ গ্রামে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা
  • তাড়াশে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা
  • বাংলা নববর্ষে আসছে পারিবারিক গল্পের সিরিজ ‘ননসেন্স’ 
  • বৈশাখে স্মৃতির ঝাঁপি খুলবেন বিজরী-দিনার
  • শহুরে পরিবারের দ্বন্দ্ব নিয়ে ‘ননসেন্স’
  • বৈসাবি উপলক্ষে রাঙামাটিতে ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা অনুষ্ঠিত
  • ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে অপূর্ব-নীহা
  • নববর্ষ উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎশিল্পীদের