রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁকে অচেতন করে লাখ টাকা নিয়ে গেছেন অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিল্পকলা একাডেমির সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম হোসাইন ইসলাম লিমন (২৩)। তিনি রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার মা টেলিকম নামের একটি দোকানের ব্যবস্থাপক। মুঠোফোনে আর্থিক সেবা (এমএফএস), ফ্লেক্সিলোডসহ অন্যান্য ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠানটি।

ভুক্তভোগী লিমনকে গতকাল দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক বলেন, হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে লিমনকে তাঁর বন্ধুরা নিয়ে যান।

বন্ধু পরিচয় দেওয়া শরিফ উদ্দিন বলেন, লিমন গতকাল শিল্পকলা একাডেমির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় এক নারী কান্নাকাটি করে তাঁকে বলেন, জরুরি কথা বলার জন্য তাঁর একটু মুঠোফোনে কথা বলা খুব দরকার। লিমন যাতে তাঁর মুঠোফোনটা তাঁকে একটু দেন, সেই অনুরোধ করেন নারী। মুঠোফোন দেওয়ার পর লিমনের মাথা ঘোরাতে থাকে। এর পরের কোনো কিছু তাঁর মনে নেই। কিছুটা চেতনা ফিরলে তিনি কোনোরকমে তোপখানা রোড এলাকায় নিজের মেসে যান। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান শরিফ। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে আবার মেসে নেওয়া হয়।

শরিফ উদ্দিন বলেন, লিমন জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা ছিল। তাঁকে অচেতন করে সব টাকা নিয়ে গেছেন অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য

ব্যক্তিগত ২৮ রানের সময় আউট হয়েও বেঁচে গেলেন নো বলের কল্যাণে। একেই মনে হয় বলে চ্যাম্পিয়ন্স লাক! এরপর অভিষেক শর্মা আইপিএলকে উপহার দিলেন এক স্মরণীয় রাত। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর ৫৫ বলে খেললেন অবিশ্বাস্য ১৪১ রানের এক ইনিংস। যা আইপিএলের ইতিহাসে কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানের আইপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।

অভিষেকের বিস্ফোরক ইনিংসের কল্যাণে পাঞ্জাব কিংসের ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে করা ২৪৫ রানকে মামুলি মনে হলো। প্রায় আড়াইশ ছুঁইছুঁই রান তাড়া করতে নেমে ১৫ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২৪৭/২)। যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড। গত মৌসুমে (২৬ এপ্রিল, ২০২৪) ক্লকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ২৬১ রানের ইনিংস তাড়া করতে নেমে ৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পাঙজাব জিতেছিল, যা আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড।

আরো পড়ুন:

চেন্নাই প্লে’অফ খেলবে, দাবি ব্যাটিং কোচের

ধোনির অধিনায়কত্বেও ভাগ্য বদলালো না চেন্নাইর

গতরাতে রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরন সিং। দুজন মিলে করেন ৬৬ রান। ১৩ বলে ৩৬ রান করে আউট হন প্রিয়াংশ। এরপর দলীয় ৯১ রানে ফেরেন প্রভসিমরন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৪২। তবে পাঞ্জাবের হয়ে আসল ঝড়টা তোলেন শ্রেয়াস আইয়ার। ৩৬ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় করেন ৮২ রান। আর শেষ দিকে ১১ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস।

জবাব দিতে নেমে অভিষেকের এই মহাকাব্যিক ইনিংস যেন এক রূপকথার মত প্রত্যাবর্তন। চলমান আসরে এই ২৪ বছর বয়সী ওপেনারের ব্যাট ঠিক হাসছিল না। তবে পাঞ্জাবের সাথে ঠিকই অভিষেক জানান দিলেন, হারিয়ে যাননি তিনি। ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন। পাওয়ারপ্লে’র পর হেড যখন ছন্দে ব্যাট করছিলেন, তখন অভিষেক গিয়ার বদলে ঝড় তোলা শুরু করেন।

হেডের সঙ্গে ১৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন অভিষেক। যা হায়দরাবাদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। হেডের ৩৭ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

এরপর অভিষেক ব্যক্তিগত প্রথম আইপিএল শতরানটি করেন মাত্র ৪০ বলে, যা আইপিএলের ইতিহাসে ষষ্ঠ দ্রুততম সেঞ্চুরি। কিন্তু তখনো চমকের বাকী ছিল। শতরান পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, অভিষেক নিজের পকেট থেকে একটি সাদা কাগজ বের করে উপরে তুলে ধরেন, যেখানে হাতে লেখা ছিল, ‘এই ইনিংসটি কমলা আর্মিদের জন্য’। পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়াসও সেই মুহূর্তে কাছে চলে আসেন বার্তাটি পড়তে।

অভিষেক প্রায় ২৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৪ চার ও ১০টি ছক্কায় তাঁর ইনিংসটি সাজান।

হায়দরাবাদের হয়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটিই। এর আগে ডেভিড ওয়ার্নারের ১২৬ ছিল চূড়ায়। আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। কেবল ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের আছেন সামনে।

টানা ৪ ম্যাচ হারার পর আসরে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল হায়দরাবাদ। ৬ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে আছে প্যাট কামিন্সের দল।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ