বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিকস) নাছিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মনোগ্রাম বা লোগো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নতুন লোগো চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও পেয়েছে। এখন শুধু প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষা।
বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান লোগোতে থাকা পাল তোলা নৌকা বাদ পড়ছে। আর স্থান পেয়েছে দেশের জাতীয় ফুল শাপলা, ধান ও গমের শীষ এবং পাটপাতা। পাটপাতার ওপরে লেখা রয়েছে— ‘পুলিশ’।
চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই নতুন লোগো পুলিশ বাহিনীর সব জেলা ও ইউনিটে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে। এর অংশ হিসেবে ইউনিফর্ম, পতাকা, সাইনবোর্ডসহ সব ধরনের সংশ্লিষ্ট সামগ্রীতে নতুন লোগোর ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নত ন ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের সমর্থন ‘ঘৃণাভরে’ প্রত্যাখ্যান
ছয় দফা দাবি আদায়ে কারিগরি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা ‘ঘৃণাভরে’ প্রত্যাখ্যান করেছে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কারিগরি শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ এই তথ্য জানায়।
কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সেল সম্পাদক (অস্থায়ী) মো. সাব্বির আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কিছু সদস্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের নামে বিবৃতি ও প্রচারণা চালাচ্ছে। কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে এই জঘন্য, নিকৃষ্ট, স্বার্থান্বেষী ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং আমরা তাদের তথাকথিত সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
আরো পড়ুন:
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল
টাঙ্গাইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
বিবৃতিতে বলা হয়, যে সংগঠন বছরের পর বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস করেছে, টেকনিক্যাল সেক্টরের বারোটা বাজিয়েছে; কারিগরি উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। তারাই আবার সমর্থন দিচ্ছে, এটা হাস্যকর। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থন আমাদের জন্য অপমানজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।
আরো বলা হয়, কারিগরি ছাত্র আন্দোলন একটি স্বতন্ত্র, অহিংস এবং ছাত্রবান্ধব আন্দোলন। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন বা হস্তক্ষেপ চাই না। যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে নিজেদের নাম জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে কিংবা দেশকে অস্থিতিশীল করতে পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করছি, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আন্দোলনকারীরা স্মরণ করিয়ে দেন, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সক্রিয় যোদ্ধা। আপনাদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন এবং স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে জনগণের তথা আমাদের সরকার গঠন করেছি। এ সরকার ছাত্র-জনতার সরকার। তাই সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন ব্যবহার করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
ঢাকা/রায়হান/রাজীব