সেরা কোচ পেতে ক্ষতিপূরণে আপত্তি নেই ব্রাজিলের
Published: 11th, April 2025 GMT
দরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করার পর ব্রাজিলের জন্য নতুন কোচ খুঁজছে কনফেডারেশন অব ব্রাজিল ফুটবল (সিবিএফ)। চার কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকাও করেছে ব্রাজিল। যে তালিকায় আছেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি, আল হিলালের কোচ হোর্হে জেসুস, ফেনারবেচের কোচ হোসে মরিনহো ও পালমেইরাসের আবেল পেরেইরা।
এই চার কোচের সঙ্গেই তাদের বর্তমান ক্লাবের চুক্তি আছে। ওই চুক্তি বাতিল করে তাদের কাউকে ব্রাজিলের ডাগ আউটে পেতে হলে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সিবিএফের। কনফেডারেশন প্রেসিডেন্ট এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েজ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত তারা।
রদ্রিগুয়েজ বলেন, ‘জাতীয় দলের জন্য সিবিএফ সেরা কোচকেই চান। জাতীয় দলের জন্য সেরা কোচ পাওয়ার জন্য এটাকে (ক্ষতিপূরণ দেওয়া) আমরা বিনিয়োগ হিসেবে দেখছি।’
রদ্রিগুয়েজ জানিয়েছেন, কোচ নিয়োগের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া ও পরিকল্পনা-কৌশল সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়ার কাজটা সিবিএফের নির্বাহী সমন্বয়ক রদ্রিগো কায়তানো দেখভাল করছেন। রদ্রিগো বিষয়টি সম্পর্কে চূড়ান্ত খোঁজ-খবর নেওয়া সম্পন্ন করলে প্রেসিডেন্ট তার সঙ্গে বসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সিবিএফ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিস্তারিত (কোচ সম্পর্কে) তথ্য রদ্রিগো কায়তানোর কাছে পাওয়া যাবে। তিনি এটা দেখভাল করছেন। তার হাতে এরই মধ্যে একজনের নাম এসেছে, অন্যরাও আলোচনায় আছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি, তবে খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হচ্ছে। কোচদের সঙ্গে কথা বলার আগে তাদের ক্লাবের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। দ্রুতই তিনি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাবেন, এরপর আমরা বসবো।’
ব্রাজিলের কোচ হিসেবে সিবিএফ প্রেসিডেন্ট এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েজের প্রথম পছন্দ কার্লো আনচেলত্তি। জুলাইয়ের আগে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকায় হোর্হে জেসুসকে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। তবে রিয়াল মাদ্রিদে ডন কার্লোর চাকরি সুতোর ওপর ঝুলছে বলে খবর। আর্সেনালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জিতে সেমিফাইনালে যেতে না পারলে বরখাস্ত হতে পারেন তিনি। বিষয়টিকে সুযোগ হিসেবে দেখছে সিবিএফ। আর্সেনালের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হেরেছে রিয়াল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল র জন য স ব এফ
এছাড়াও পড়ুন:
চাল না পেয়ে জেলেদের ইউপি পরিষদ ঘেরাও
বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ জেলে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জালিয়াঘাটাস্থ সরল ইউপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন জেলেরা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ওই ইউপি কার্যালয় ঘেরাও করেন তারা। এ সময় বিক্ষুব্ধ জেলেরা সরল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তারের অপসারণ ও বিচার দাবি করেন।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নে ৬৯১ জন জেলের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসের জন্য ৮০ কেজি করে ৩৩ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার ২৬ টন চাল উত্তোলন করে বাকি চাল আত্মসাৎ করেছেন বলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নুরুল ইসলাম নামের এক জেলে। রোববার জেলেদের চাল বিতরণের নির্ধারিত তারিখ ছিল। পূর্ব নির্ধারিত সময়ে কয়েকশ জেলে পরিষদে চাল নিতে গেলে তাদের ফেরত দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা।
জেলে নুরুল ইসলাম জানান, জেলেদের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ হলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একবার ৩২ কেজি চাল দিয়ে বাকি চাল আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে অনেক জেলে সেই ৩২ কেজিও পাননি। চাল না পেয়ে তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরল ইউনিয়নের জেলে মনির উদ্দিন, মোহাম্মদ তৈয়ব, বাবুল দাশ, আবদুল আজিজ, মোহাম্মদ হাসানের ভাষ্য, মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও কাউকে কাউকে ২৮ কেজি ও ৩২ কেজি চাল দেন। অধিকাংশ জেলেকে চাল না দিয়ে ফেরত দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরিবের জন্য বরাদ্দ করা ভিজিএফের চাল অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, সরল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তারকে অনিয়ম দুর্নীতিতে সহযোগিতা করছেন সরল থেকে বদলি করা ইউপি সচিব হারুন। কিছু দিন অরুণ জয় ধর নামে শীলকূপ ইউনিয়নের সচিবকে সরল ইউনিয়নের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হলেও বর্তমানে রহিম উল্লাহ নামে একজনকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এত কিছুর পরও পাসওয়ার্ডসহ পুরো নিয়ন্ত্রণ হারুনের হাতে। সরলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজেকে সরকারের একজন সচিবের চাচি বলেও পরিচয় দিচ্ছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার জানান, জেলেদের জন্য তিনি ২৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি ৩৮ কেজি করে দিয়েছেন। যেসব জেলে এখনও চাল পাননি, তারাও চাল পাবে। সেলিম নামে একজন ইউপি সদস্য লোকজনকে উস্কে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, সরল ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।