ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার মহাদেশ থেকে বিশ্বকাপের দল বাড়িয়ে ৬৪ করার প্রস্তাব
Published: 11th, April 2025 GMT
৬৪ দল নিয়ে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন করা নিয়ে আলোচনা চলছে কিছুদিন ধরে। গত ৬ মার্চ ফিফা কাউন্সিলের অনলাইন সভায় এ প্রস্তাব সামনে আনেন উরুগুয়ের এক প্রতিনিধি। এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় নানামুখী আলাপ।
ফিফা বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বললেও, উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। সেফেরিন স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা বাজে পরিকল্পনা। এ প্রস্তাব আপনাদের চেয়ে আমার কাছে বেশি বিস্ময়কর।’
তবে উয়েফা সভাপতির এই আপত্তি অগ্রাহ্য করে এবার ৬৪ দেশ নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন বা কনমেবল। সংস্থাটির পক্ষে এ প্রস্তাব সামনে এনেছেন কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো দমিনগেজ। কনমেবলের এই আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।
আরও পড়ুন২০৩০ বিশ্বকাপে ৬৪ দলকে খেলানোর প্রস্তাব, বিবেচনা করছে ফিফা০৭ মার্চ ২০২৫কনমেবলের ৮০তম সাধারণ কংগ্রেসে নিজের উদ্বোধনী ভাষণে দমিনগেজ বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে শতবর্ষ উদ্যাপনটি দারুণ কিছু হতে যাচ্ছে। কারণ, ১০০ বছর শুধু একবারই উদ্যাপন করার সুযোগ পাওয়া যায়। আর এই কারণেই আমরা প্রথমবারের মতো তিনটি মহাদেশে ৬৪ দল নিয়ে শতবার্ষিকী আয়োজনের প্রস্তাব দিচ্ছি।’
দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিউজ হওয়ায় তান্ডব সিনেমা থেকে বাদ, নায়িকা বললেন অপেশাদার আচরণ
সম্প্রতি অপেশাদার আচরণের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন তিনি। যে স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী অভিনয় ছাড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। সে ইঙ্গিতের সূত্র ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে নেহা জানান, অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা নয়। পুরোপুরি পেশাদার না হলে তাদের সঙ্গে কাজ না করার ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি। কাউকে বিষয়টি ভুল ব্যাখ্যা না করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিছুদিন আগে তান্ডব সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার খবর আসে তার। সে খবরটি প্রকাশের পরই সিনেমায় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে। সিনেমাটিতে একদিনের শুটিংয়েও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এভাবে বাদ দেওয়াটাকে অপেশাদার আচরণ বলেই মন্তব্য অভিনেত্রীর।
নেহা বললেন, ছবিটির নাম আমি আর বলতে চাইছি না। একদিন শুটিংও করেছি। আমার বাবা ক্যানসারের রোগী। চিকিৎসার জন্য তাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজটির জন্য আমি সব বাদ দিই। ফ্লাইটের টিকিট বাতিল করে তাদের মে পর্যন্ত টানা দুই মাসের ডেট দিই। ঈদের আগে একদিন শুটিংও করি। এরমধ্যে এক পত্রিকার রিপোর্টার আমার কাছে নতুন কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে ছবিটির কথা বলি। এরপর নিউজ হলো। আমাকে নায়িকা বানিয়ে দেওয়া হলো। আমি তখনও নিউজটি দেখিনি। কিন্তু ছবি সংশ্লিষ্টরা মনে করলেন আমি নিউজ করিয়েছি। আমার সঙ্গে চেচামেচি করলেন। আমি বললাম, করাইনি। এরপর যা ঘটার ঘটল।
নেহা বলেন, আমার কাজের সংখ্যা কম কিন্তু যেকটা করেছি সবগুলো গুণগত মানসম্পন্ন। একজন অভিনয়শিল্পী কেমন অভিনয় করে তার কাজই বলে দেয়। উদাহরণস্বরুপ ওয়েব সিরিজ ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’-এর ‘হাসের সালুন’-র কথা বলি। সেখানে আমার চরিত্রের দৈর্ঘ্য কম। কিন্তু ১০ মিনিটের ওই কাজের জন্য বিদেশি গণমাধ্যমে পর্যন্ত আমাকে নিয়ে লেখালেখি হয়েছে।কোয়ালিটি না থাকলে তো তারা ডাকতেন না।
নেহার মত সিনেমার খবরটি জানালেও তাকে বাদ দেওয়ার মত কাজ তারা করতে পারেন না। এটা পুরোপুরি অপেশাদারিত্ব। কারণ তারা অফিসিয়ালি কখনও বলেনি বিষয়টি গোপন রাখতে। অভিনেত্রীর ভাষ্য, যদি আমি নিউজ করিও তবুও তো তারা আমার সঙ্গে এরকম করতে পারেন না। কেননা আমাকে তো বলা হয়নি যে নিউজ করা যাবে না। সাধারণত কাজের ক্ষেত্রে টিম যদি কোনোকিছু গোপন রাখার প্রয়োজন বোধ করে তবে আর্টিস্টের সঙ্গে বসে আলোচনা করে। কিন্তু আমাকে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। চুক্তিপত্রে সাইন করার কথা ছিল। হয়তো সেখানে লেখা থাকত। কিন্তু তাড়াহুড়া করে কাজটি শুরু করা হয়। সাইন করার সময়টা-ই ছিল না। ঈদের পর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের কথা ছিল। এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে কেউ আমাকে কাজটির কথা গোপন রাখতে বলেওনি।’