রাজধানী ও এর আশপাশে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বায়ুদূষণ কিছু্টা কমেছিল। তবে কয়েক দিন বৃষ্টিহীন থাকার পর দূষণ আবার ফেরত এসেছে। আজ শুক্রবার ছুটির দিনেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৫৫। এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। আজ বায়ুদুষণে শীর্ষে আছে সৌদি আরবের রিয়াদ, বায়ুমান ৭০৮।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

আজ রাজধানীতে যানবাহনের চলাচল অনেক কম। বেশির ভাগ কলকারখানাও বন্ধ। তারপরও দূষণ থেমে নেই।

পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়িতে আজ বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি। আইকিউএয়ারের মানসূচকে সেখানকার গড় বায়ুমান ১৮৬।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে নগরবাসীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক ও নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.

৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৪ গুণ বেশি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইক উএয় র

এছাড়াও পড়ুন:

গামছা কীভাবে বাঙালি সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হয়ে উঠল

সুমন ইউসুফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ