চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া এক মাঝির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নদীর হামিদচর এলাকা থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার হয়। এর আগে গত বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি নদীর পানিতে তলিয়ে যান।

নিহত মাঝির নাম জাবেদ আহমদ (৪০)। তিনি কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহার ১ নম্বর ওয়ার্ড বাইট্টা গোষ্ঠীর বাড়ির মৃত শরীফ আলীর ছেলে। পরিবারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তাঁর।

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে শিকলবাহা এলাকা থেকে নিজের নৌকায় দুজন যাত্রীকে কর্ণফুলী নদীর কোলাগাঁও এলাকায় ভাসমান একটি বাল্কহেডে (নৌযান) নিয়ে যান জাবেদ। ওই বাল্কহেডের সঙ্গে নৌকাটি রশি দিয়ে বেঁধে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় রশি খুলে গিয়ে নৌকাটি ভেসে যাচ্ছিল। নিজের নৌকা ধরতে বাল্কহেড থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন জাবেদ। তবে কিছুদূর সাঁতরে যাওয়ার পর তিনি নদীর পানিতে তলিয়ে যান।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

একরাম উল্লাহ বলেন, মাঝি জাবেদ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। লাশটি পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের সদস্যদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমবারের মতো বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে জবি

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রথমবারের মতো বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

‘বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো’— স্লোগান ধারণ করে গোটা ক্যাম্পাস রঙে, প্রাণে, উৎসবে মুখরিত হয়ে উঠেছে। দিনভর চলা এ আয়োজন সবার প্রাণে ছড়িয়ে দিয়েছে বাঙালিয়ানার উষ্ণতা।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে নববর্ষ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনটির আনুষ্ঠানিকতা। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষ্কর্য চত্বর থেকে যাত্রা শুরু করে রায়সাহেব বাজারের ঐতিহাসিক ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।  

‘বাংলার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতি’ থিমকে কেন্দ্র করে আয়োজিত শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত হয় গরুর গাড়ি, পাখি ও পশুর প্রতিকৃতি, ফুলের কারুকাজসহ নানা গ্রামীণ উপকরণ। পুরো আয়োজনই যেন এক টুকরো গ্রামবাংলাকে নগরসভায় টেনে এনেছে।

শোভাযাত্রার শেষে বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, “নববর্ষের এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতিচর্চা ও সৃজনশীল বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই চর্চাই আমাদের জাতিসত্তার ভিত্তি মজবুত করবে।”

শোভাযাত্রা শেষে শুরু হয় দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মুক্তমঞ্চ ও রফিক ভবনের নিচে শতাধিক স্টল সাজানো হয় হস্তশিল্প, পিঠা-পুলি, গয়না, গ্রামীণ খেলনা, বই এবং প্রকাশনা সামগ্রী দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো বৈশাখী মেলা হওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যেন ফিরে পেয়েছেন শেকড়ের টান।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত শিল্পীরা। পরিবেশিত হয় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি এবং পালা নাটক ‘ভেলুয়া সুন্দরী’।

দিনশেষে বিকেল ৪টা থেকে আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় ব্যান্ড কনসার্ট।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ