ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় একটি মালামাল বোঝাই ট্রাক ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার এয়াকুবপুর ইউনিয়নের শরিফপুরের ইউনিক গ্যাস পেট্রল পাম্প এলাকায় দাগনভূঞা-বসুরহাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশাটির চালক নজরুল ইসলাম (৩৫) ও যাত্রী মো. রাজিব (২৩)। নজরুল দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের ওসমান আলী সারেং বাড়ির মো.

সেলিমের ছেলে। নিহত রাজিবের বাড়ি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। তবে তিনি দাগনভূঞার বসুরহাট রোডের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে আটটার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাচালক নজরুল নিহত হন। আহত অবস্থায় যাত্রী রাজিবকে উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সেখান থেকে মর্গে পাঠায় পুলিশ।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পর টাকটির চালক পালিয়ে গেছেন। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ গনভ ঞ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।

শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।

মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ