খাবার খাওয়ার সময় শিশুর গলায় খাবার আটকে যেতে পারে। আবার অনেক সময় ছোট ছোট খেলনা, পয়সা, বা অন্য কোনো জিনিসও শিশু গিলতে গিয়ে গলায় বাঁধিয়ে ফেলতে পারে। এই অবস্থায় অস্থির না হয়ে পর পর দুইটি কাজ করা জরুরি। 

সাব্বির আহমেদ, পোস্ট ডক্টরাল সাইন্টিস্ট একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘খাবার খাওয়ার সময় অনেক সময় শিশুদের গলায় খাবার আটকে যায়। মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। শিশুকে প্রথমে এক হাতের তালুতে উপুর করে নিতে হবে। মাথাটা যেন একটু নিচের দিকে থাকে। তারপর আরেক হাতের তালু দিয়ে শিশুর পিঠে কয়েকবার চাপ দিতে হবে। এভাবে চাপ দেওয়াকে বলা হয় ‘Back Blow’। ব্যাক ব্লো এর ফলে শিশুর ফুসফুসে ভাইব্রেশন এবং বা কম্পন সৃষ্টি হয়। যার ফলে খাদ্যনালীতে আটকে যাওয়া জিনিসটা বের হয়ে আসতে পারবে।’’ 

আরো পড়ুন:

কীভাবে বুঝবেন শিশু অটিজমের লক্ষণ বহন করছে

সন্তান যেন সুখী হয়

বুকের মাঝ বরাবর চাপ দিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

সাব্বির আহমেদ আরও বলেন,‘‘পাঁচ বার ব্যাক ব্লো দেওয়ার পরে যদি ভেতরে আটকে যাওয়া জিনিসটি বের হয়ে না আসে, তাহলে আরেকটি কাজ করতে হবে। শিশুকে চিৎ করে তারপরে দুই আঙুল দিয়ে শিশুর বুকের মাঝ বরাবর প্রেসার দিতে হবে। এটা করতে ফুসফুসের ভেতরে যে বাতাস থাকে সেই বাতাসটা উপরের দিকে একটা চাপ সৃষ্টি করে। ফলে ভেতের আটকে থাকা খাবার বা জিনিস বের হয়ে আসবে।’’

চার পাঁচ বার বুকে চাপ দেওয়ার পরেও যদি আটকে যাওয়া জিনিস বের হয়ে না আসে, তাহলে দ্রুত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র হয়

এছাড়াও পড়ুন:

‘মার্চ ফর ড. ইউনুস’ আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন

‘মাচ ফর ড. ইউনুস’ আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন, এই দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে শহরের চাষাড়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, ১৭ বছর মানুষ নির্বাচনে ভোট দিতে পারে নাই কিন্ত এখন দেশের অধিকাংশ মানুষই নির্বাচন চায় না। তারা চায় আগে সংবিধান ঠিক হোক। আপনারা জনগণের মতামত নেন একটা গণপরিষদ নির্বাচন করে দেখেন অধিকাংশ মানুষই এবার ভোটের বিপক্ষে। 

আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে সর্বপ্রথম আওয়াজ উঠিয়েছি। এখন এই আওয়াজ বাকি ৬৩ জেলায় গিয়ে জড়ো হবে। খুনি হাসিনার বিচার আর দেশ সংস্কার এর আগে কোন নির্বাচন হবে না।

বক্তারা আরও বলেন, আপনারা যারা নির্বাচন রোড ম্যাপ চাচ্ছেন, সংস্কার চাচ্ছেন না। তাদের বলছি, আমরাও নির্বাচন চাই তবে তার আগে জুলাই হত্যার বিচার, সংবিধান সংস্কার, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার, শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, ব্যাংকিং খাত সংস্কার, আইন শৃঙ্খলা সংস্কার, দেশের বাণিজ্য সংস্কার, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, সরকারি নিয়োগ ব্যবস্থা সংস্কার, সামাজিক ব্যবস্থা সংস্কার, পার্বত্য বিশৃঙ্খলা সংস্কার, ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট সংস্কার, রাজনৈতিক নেতাদের সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, স্থানীয় সরকার নির্বাচন, তারপর আপনারা নির্বাচন করুন আমাদের দেশের জনগণের কোনো আপত্তি নাই।

বক্তারা বলেন, আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। খুনি হাসিনাই আমাদের ভয় দেখাতে পারেনি এখন যদি কেউ আবারও আওয়ামীলীগ হওয়ার চেষ্টা করে তাদের উচিত ২৪ থেকে শিক্ষা নেয়া।

পৃথিবীতে সাদা কালো, ধনী গরিব, দেশি বিদেশি এগুলা কোনো বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে পৃথিবীতে দুই ধরনের লোক থাকে উইনার এন্ড লুজার। ড. ইউনূস ইউ উইল বি দা উইনার ইফ ইউ মেক এভরি লুজার টার্ন ইন্টু ওইনার।

এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, মো. আলিফ দেওয়ান, রবিউল ইসলাম রবিন, আল আমিন বিন আরশাদ আলী, ফাহিম খন্দকার অনিক ও রাব্বী ইসলাম নিলয়সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, একই দাবিতে গত ১৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ