৫২ বছর বয়সে দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছেন ইউপি সদস্য
Published: 11th, April 2025 GMT
৫২ বছর বয়সে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলু। তিনি প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি লাভের পর ১৯৯০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় দিতে হলে বসেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হয়ে বহিষ্কার হন তিনি। এরপর বন্ধ হয়ে যায় তার পড়ালেখা।
অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ইউপি সদস্য দুলু। এরপর স্থানীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আবারও পড়ালেখা করার মনোবল ফিরে পান। অবশেষে চলতি দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলু। তার এমন ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানিয়ে তার সাফল্য কামনা করেছেন জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.
দেলোয়ার হোসেন দুলু জানান, তার পরিবারের সবাই শিক্ষিত। শুধু তিনিই কম শিক্ষিত হওয়ায় প্রতিনিয়তই কষ্ট পেতেন। ২০২১ সালে বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ নম্বর করমদোশী ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি নতুন করে লেখাপড়া করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি পার্শ্ববর্তী রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার উমরগাড়ী দারুল খায়ের দ্বি-মুখি দাখিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেই সূত্র ধরে তিনি এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি ভালো ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৫ সালে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক বৃত্তি এবং ১৯৮৮ সালে জামনগর দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৯০ সালে বাগাতিপাড়া কেন্দ্রে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে বহিষ্কার করেন।
তিনি অল্পশিক্ষিত হয়েও মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলও নতুন করে স্বপ্ন দেখে তার বাস্তবে রূপ দিতেই শেষ বয়সে এসে তিনি নাতি-নাতনিদের সঙ্গে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষায় তিনি ভালো ফলাফল করবেন বলে আশা করছেন। তিনি সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএসস পর ক ষ পর ক ষ য় অ শ ন দ খ ল পর ক ষ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
গরমে চুল ঝরা কমাতে উপকারী ঘরোয়া ৩ মাস্ক
গরমে শরীরের পাশাপাশি মাথার ত্বকও ঘামে। এর ফলে চুল ঝরা বাড়ে। গরমে ঘেমে আর্দ্রতা হারিয়ে চুল নির্জীব হয়ে পড়ে। মাথার ত্বকের ঘর্মাক্ত ভাব কমাতে অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করেন। ঘন ঘন শ্যাম্পু করার চেয়ে এই সময়ে চুলের যত্ন নিতে ঘরোয়া কিছু মাস্কের উপর ভরসা করতে পারেন। এতে চুল থাকবে প্রাণবন্ত, ঝরঝরে।
দই, মধু, ডিমের মাস্ক
দই কন্ডিশনার হিসাবে খুবই কার্যকরী। ডিম চুলের ফলিকল শক্ত করতে ভূমিকা রাখে। রুক্ষ চুল মসৃণ করতে মধুর জুড়ি নেই। গরমে চুল ভালো রাখতে একটি ডিম ভালো করে ফেটিয়ে তার মধ্যে ৬ চামচ টক দই এবং ২ চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মাথার ত্বকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল ঝরা কমবে।
কলা, অ্যাভোকাডো মাস্ক
রুক্ষ চুল মসৃণ করতে কলা, অ্যাভোকাডো মাস্কের তুলনা নেই। দুটি পাকা কলার সঙ্গে অর্ধেকটা পাকা অ্যাভোকাডো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে মেখে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত এবং শক্তিশালী হবে।
ডিম,ক্যাস্টর অয়েল, মধু
একটা ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু,এক চামচ ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। চুলে মেখে শাওয়ার ক্যাপ পরে মাথায় তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। অ্যাপল সিডার ভিনেগার দিয়ে কন্ডিশনিং করুন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল ঝরা কমবে, চুল মসৃণও হবে।