আজ বিশ্ব পারকিনসনস দিবস। প্রতিবছর ১১ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইউনাইট ফর পারকিনসনস’। এবার দিবসটি উপলক্ষে ভিন্নধর্মী এক আয়োজন করেছিল স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের নিউরোসায়েন্স সেন্টার। হাসপাতালের মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার পারকিনসনস আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য জীবনঘনিষ্ঠ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পারকিনসনসকে সাধারণভাবে একধরনের ‘মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার’, যা রোগীর স্বাভাবিক চলন শক্তিকে বাধাগ্রস্ত করে। রোগীর পেশি কাঁপতে থাকে, তাঁর স্বাভাবিক গতি ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে। বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় পেশির জড়তায়। একপর্যায়ে ছোট ছোট পদক্ষেপে হাঁটেন তিনি। হাঁটাচলার সময় ভারসাম্য রাখতে অসুবিধা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে চিকিৎসকদের জন্য ছিল বৈজ্ঞানিক সভা। হাসপাতালটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ছাড়াও সেখানে বক্তব্য দেন জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমী।

পারকিনসনস রোগের চিকিৎসায় ওষুধ এবং বিশেষ ব্যায়াম ছাড়াও বিশেষায়িত শল্যচিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করেন অধ্যাপক জালাল উদ্দিন। চিকিৎসাপ্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও এ ধরনের শল্যচিকিৎসা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত যদিও তা স্বল্প পরিসরে।

সভায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন নিউরোলজির অধ্যাপক আলেসান্দ্রো ডি রোকো। তিনি জানান, বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে যে স্নায়বিক রোগটি বাড়ছে, তা হলো পারকিনসনস। রোগটি সম্পর্কে তাই সবারই সচেতন হওয়া জরুরি।

পারকিনসনস আক্রান্ত যেসব ব্যক্তি স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাঁদের এবং তাঁদের স্বজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই বিশেষ আয়োজনে। ফুল দিয়ে তাঁদের বরণ করে নেওয়া হয়। তাঁদের পক্ষ থেকে কয়েকজন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন বৈজ্ঞানিক সভায়।

হাসপাতালটির নিউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো-অর্ডিনেটর মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। জিনগত বিষয়ও জড়িত থাকে কারও কারও ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, অনেকের জন্যই বাড়তি ঝুঁকি সৃষ্টি করে পরিবেশে ছড়িয়ে থাকা মারাত্মক দূষণকারী পদার্থ। বায়ুতে মিশে থাকা কণা এবং কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক কীটনাশক হলো এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। স্বাস্থ্যকর জীবনচর্চা এ রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

নিউরোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট মুহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান একজন মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার বিশেষজ্ঞ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেলোশিপ সম্পন্ন করে এখন দেশের মানুষকে বিশেষায়িত সেবা দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন এই চিকিৎসক।

এই চিকিৎসক জানালেন, পারকিনসনসকে সাধারণভাবে মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার বলা হলেও এতে দেহের বহুবিধ পরিবর্তন হয়। কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা দেয় রোগীর চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ারও আগে। চলাচলের সমস্যা দেখা দিলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডে বিশেষায়িত পারকিনসনস ইউনিট চালু করারও স্বপ্ন দেখেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে অপূর্ব-নীহা

ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বরাবরই বর্ণাঢ্য আয়োজন করে থাকে। এই আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ—নাটক, টেলিফিল্ম। তবে নতুন মিডিয়া হিসেবে ইউটিউব চ্যানেল নিজস্ব একটি জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও ইউটিউবের জন্য ভিন্ন ধারার নাটক নির্মাণ করে থাকে।

প্রত্যেক ঈদে কিছু নাটক দর্শকের মনে বিশেষভাবে দাগ কেটে যায়। নাটকের গল্প, নির্মাণ শৈলী ও অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত নাটকগুলোর মধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে রয়েছে ‘মেঘবালিকা’ নাটকটি।

জাকারিয়া সৌখিন নির্মিত ‘মেঘবালিকা’ নাটকে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজনীন নীহা। নাটকটি দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। ৬ দিনে নাটকটির ভিউ দাঁড়িয়েছে ৭৬ লাখের বেশি।

আরো পড়ুন:

ভিউয়ের দৌড়ে ‘বড় ছেলে’ অপূর্বকে ছাড়িয়ে নিলয়

বিয়ে করলেন জামিল-মুনমুন

ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ‘মেঘবালিকা’। দর্শক সাড়া পেয়ে কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নের জবাবে নীহা বলেন, “খুব ভালো লাগছে। ঈদে এত এত ভালো নাটক এসেছে। সেগুলোর মধ্যে আমাদের নাটকটিও দর্শক পছন্দ করেছেন, ট্রেন্ডিংয়ে ১ নাম্বারে রয়েছে— এটা তো দারুণ ব্যাপার। এর আগেও আমাদের ‘মন দুয়ারী’ নাটকটি দর্শক খুব পছন্দ করেছিলেন। এ কারণে চিন্তা এবং এক্সাইটমেন্ট দুটিই ছিল— দর্শক আগের মতো গ্রহণ করেন কি না। এখন এত এত ভালোবাসা দেখে ভালো লাগছে, সামনে আরো ভালো কাজের উৎসাহ পাচ্ছি।”

অপূর্বর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নীহা বলেন, “প্রথম যেদিন গল্প নিয়ে বসেছিলাম, খুব ভয় পাচ্ছিলাম। অপূর্ব ভাইয়া আমার বরাবরই পছন্দের অভিনেতা, একজন লিজেন্ডারি অ্যাক্টর। তাই ভয় ছিল, প্রথম প্রতিক্রিয়া কেমন হয়! তবে ভাইয়া আন্তরিকভাবে বিষয়টা সহজ করে দিয়েছিলেন।”

শুটিং সেটেও অপূর্বর ব্যবহার ছিল অমায়িক। তা জানিয়ে নীহা বলেন, “প্রথম যেদিন শুটিংয়ে গিয়েছিলাম, সেদিনও ভয়ে ভয়ে ছিলাম। তার মতো একজন অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করা চাট্টিখানি কথা নয়। তবে সেখানেও ভাইয়া অনেক সহযোগিতা করেছেন, মনেই হয়নি তার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। তার কাছ থেকে আসলে অনেক কিছু শিখেছি। সবার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, বিনয়ের সঙ্গে কীভাবে একটা বিষয় সামলাতে হয়— সব মিলিয়ে চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে।”

পরিচালনার পাশাপাশি ‘মেঘবালিকা’ নাটক রচনাও করেছেন জাকারিয়া সৌখিন। নাটকটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন— সুমু চৌধুরী, সমাপ্তি মাসুক, মিলি বাশার প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্র ও সমাজকে পথশিশুদের প্রতি মানবিক হতে হবে
  • চন্দনাইশের ‘হাতপাখা’ গ্রামে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা
  • তাড়াশে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা
  • বাংলা নববর্ষে আসছে পারিবারিক গল্পের সিরিজ ‘ননসেন্স’ 
  • বৈশাখে স্মৃতির ঝাঁপি খুলবেন বিজরী-দিনার
  • শহুরে পরিবারের দ্বন্দ্ব নিয়ে ‘ননসেন্স’
  • বৈসাবি উপলক্ষে রাঙামাটিতে ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা অনুষ্ঠিত
  • ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে অপূর্ব-নীহা
  • আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ