সিঙ্গাপুরের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী
Published: 10th, April 2025 GMT
শুধু বড় বিনিয়োগকারীরাই নয়, সিঙ্গাপুরের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। একথা বলেছেন বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের নন-রেসিডেন্ট হাইকমিশনার ডেরেক লো। ঢাকায় বিনিয়োগ সম্মেলনে আসা সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদের নিয়ে গত বুধবার বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংক আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বিশেষ অতিথি ছিলেন। ইস্টার্ন ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ঢাকার গুলশানে ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ এবং সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ ব্যবসার সুযোগ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে প্রকৃত সংলাপ, নতুন আইডিয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব উৎসাহিত করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সিঙ্গাপুরকে শুধু একটি বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবেই দেখি না। টেকসই উন্নয়ন অর্জন, আর্থিক উদ্ভাবনে গতি আনা এবং পারস্পরিক সমৃদ্ধি অর্জনে সিঙ্গাপুর আমাদের কৌশলগত মিত্র।’
বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের নন-রেসিডেন্ট হাইকমিশনার বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে অধিক পরিমাণে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের ভালো সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ তার কৃষিপণ্যে ‘হালাল সার্টিফিকেশন’ ব্যবহার করতে পারে। কারণ সিঙ্গাপুরে একটি বড় মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে, যারা এ ব্যাপারে আগ্রহী।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শাখার পরিচালক হাসান আবদুল্লাহ তৌহিদ বলেন, বাংলাদেশের বৃহৎ ভোক্তা বাজার, তরুণ এবং প্রশিক্ষণযোগ্য জনবল, মূল্যসাশ্রয়ী উৎপাদন এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বারের সুবিধা গ্রহণের জন্য সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান।
ইস্টার্ন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন বলেন, ‘আন্তঃসীমান্ত বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সল্যুশন এবং সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টিতে ইবিএল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চীন, কোরিয়া, জাপান ও ভারতের জন্য ইবিএলের আলাদা বিজনেস ডেস্ক রয়েছে, তা ইতোমধ্যে সফল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সিঙ্গাপুরের জন্য এমন একটি স্বতন্ত্র ‘বিজনেস ডেস্ক’ স্থাপনে ইবিএল চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুরের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স মিশেল লি, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুরের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার বেঞ্জামিন চুই, সুবর্না জুরংয়ের প্রধান এস.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বৈশাখের প্রথম দিনেই দূষণের তালিকায় অষ্টম ঢাকা
বৈশাখের প্রথম দিনেই বায়ুদূষণের তালিকায় অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১২ মিনিটে ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
ইরাকের বাগদাদ, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২১৪, ২১৪ ও ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের তালিকায় শীর্ষ তিনটি শহরের মধ্যে রয়েছে।
যখন দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা/হাসান/রফিক