নববর্ষ উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎশিল্পীদের
Published: 10th, April 2025 GMT
বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসব মেলা সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে হবিগঞ্জের মৃৎশিল্পীদের। দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে তৈরি করা মাটির খেলনা, পুতুল ও ব্যাংকসহ নানান জিনিসপত্র আগুনে পুড়িয়ে ও রংতুলির আঁচড় শেষে বৈশাখী মেলায় তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিল্পীরা।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই গ্রামে পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে মাটি দিয়ে তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, ব্যাংক, কলস, দইয়ের কাপ ও সরাসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। এসব জিনিসপত্র তৈরি করার পর তা রোদে শুকানো হচ্ছে। আবার কেউ কেউ রংতুলির আঁচড় দিচ্ছেন। পালপাড়ার ছোট-বড় ছেলেমেয়ে সবাই উৎসবের মতো করে এ কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। ছোট ছোট শিশুরাও তাদের বাবা-মায়েদের এই কাজে সহযোগিতা করছে। শিল্পীরা বলছেন, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরের এই সময়টাতেই তাদের ভালো আয় রোজগার হয়।
স্থানীয়রা জানালেন, বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের ছড়াছড়ির কারণে এক সময়ে গ্রামগঞ্জের জনপ্রিয় মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন তাদের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এ কারণে মৃৎশিল্পীদের আগের সুদিন নেই। পালপাড়ায় একসময় এই পেশার
সঙ্গে ৫০টিরও অধিক পরিবার জড়িত ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন মাত্র ১০ থেকে ১৫টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। উপকরণের দাম বাড়ায় এ কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
পালপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষার্থী অনন্যা রানী পাল জানান, এটা আমাদের পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি মা-বাবাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন। কারণ, এই মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করেই তার পড়ালেখাসহ সংসারের খরচ চলে।
রণজিত পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, এ পেশায় এখন টিকে থাকা মুশকিল। সরকার সহযোগিতা না করলেই অচিরেই এই পেশা থেকে নতুন প্রজন্ম মুখ ফিরিয়ে নেবে।
ইতোমধ্যে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছে। আমরা যারা এই পেশায় রয়েছি, খুব কষ্টে আছি। আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। –বলছিলেন তুলসী রানী পাল।
হবিগঞ্জ বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ন সপত র সহয গ ত এই প শ
এছাড়াও পড়ুন:
বৈশাখে স্মৃতির ঝাঁপি খুলবেন বিজরী-দিনার
দেশের প্রথম প্যাকেজ অনুষ্ঠান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন প্রতিবারের মত এবারও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নির্মাণ করেছে বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন। নাটকীয়ভাবে এর প্রতিটি আইটেম উপস্থাপন করা হয়। দেশের বিভিন্ন তারকা শিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয় ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন।
পহেলা বৈশাখ হচ্ছে লোকজের সঙ্গে নাগরিক জীবনের একটি সেতুবন্ধ। ব্যস্ত নগর কিংবা গ্রামীণ জীবন যেটাই বলা হোক না কেন, এই নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে। বৈশাখী পাঁচফোড়নের এই পর্বে দেখা যাবে পহেলা বৈশাখের দিনে এক দম্পতি পহেলা বৈশাখ নিয়ে তাদের স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসে। পহেলা বৈশাখ নিয়ে তাদের বিভিন্ন কথোপকথনের ফাঁকে ফাঁকেই আসতে থাকে গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর চমৎকার সব রিপোটিং।এবারের পাঁচফোড়নে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি বিজরী বরকতউল্লাহ ও ইন্তেখাব দিনার।
বাংলা বর্ষবরণ নিয়ে এবারের পাঁচফোড়নে ‘নবীনের ডাক এসো’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী। গানটির কথা লিখেছেন প্রখ্যাত গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী পান্থ কানাই কণ্ঠ দিয়েছেন ‘পঞ্জিকাটা বদলে গেল’ শিরোনামে আর একটি গানে। গানটির কথা লিখেছেন গীতিকবি লিটন অধিকারী রিন্টু। দুটি গানেরই সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন সুমন কল্যাণ। নান্দনিক চিত্রায়ণ ও শিল্পীদের চমৎকার অভিনয় সমৃদ্ধ গানগুলো দর্শকদের ভালোবাসার আনন্দ দেবে। এছাড়া গাছের পাতা দিয়ে চমৎকার গানের সুর তুলেছেন মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে আমাদের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শাড়ি বিশেষ করে বৈশাখের শাড়ি ও তাঁতের শাড়ি বিক্রির সবচেয়ে বড় হাট সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কাপড়ের হাটের উপর রয়েছে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। কর্মহীন গৎবাঁধা জীবন থেকে বের হয়ে জীবনকে গল্প-গুজব, হাসি-আনন্দে ভরে তুলতে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী গ্রামের কিছু যুবক মিলে প্রতিষ্ঠা করেন একটি ব্যতিক্রমী ক্লাব ‘চাপালী যুব সংঘ’। এই ক্লাবের মাধ্যমে প্রবীণদের কর্মকা- নিয়ে রয়েছে আর একটি প্রতিবেদন।
পাঁচফোড়ন যেহেতু বিশেষ দিন উপলক্ষে নির্মিত হয় তাই বিশেষ দিনকে নিয়েই বিভিন্ন ধরনের নাট্যাংশ করা হয়। এবারও বৈশাখের উপর বেশ ক’টি ব্যঙ্গাত্মক এবং রসাত্মক নাট্যাংশ রয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন-সুভাশিষ ভৌমিক, আব্দুল আজিজ, কাজী আসাদ, মোহাম্মদ বারী, শাহেদ আলী, সুজাত শিমুল, আনোয়ার শাহী, আনোয়ারুল আলম সজল, নজরুল ইসলাম, সুর্বনা মজুমদার, জাহিদ শিকদার, জাহিদ চৌধুরী, মতিউর রহমান, বাহার, রতন খান, পুতুল, রেশমা, আলভীসহ আরো অনেকেই।
অনুষ্ঠানটি এটিএন বাংলায় প্রচার হবে আগামী ১৪ এপ্রিল (১লা বৈশাখ), সোমবার-রাত ৭ টা ৫০ মিনিটে। পাঁচফোড়ন নির্মাণ করেছে দেশের খ্যাতিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন