দেশের অন্যতম শীর্ষ চাল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশিদের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) গভীর রাতে আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার জমা দেন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টার দিকে মামলাটি রুজু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন।

ওসি জানান, এ ঘটনায় জড়িত মোটরসাইকেল চালক কাজী আবদুস সাকিরকে (৪২) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সাকির কুষ্টিয়া শহরের চর আমলাপাড়া এলাকার কাজী আব্দুর সামাদের ছেলে। 

বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর এলাকায় অবস্থিত শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ সূত্র জানায়, আব্দুর রশিদসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এদিকে রাত থেকেই বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযানে নামে পুলিশ। মোটরসাইকেল নম্বর বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আবদুস সাকিরকে তার শ্বশুরবাড়ি রাজবাড়ী জেলার খানখানাপুর এলাকা থেকে সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গুলিবর্ষণের সময় ব্যবহৃত মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়। এরপর সাকিরকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নেওয়া হয়। 

ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, “থানায় সাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে গুলি ছোড়ার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য মিলেছে। আরও তথ্যের জন্য বিকেলে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কুষ্টিয়া আদালতে নেওয়া হয়েছে। তাকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” 

এর আগে বুধবার বেলা পৌনে ২টার দিকে শহরের গোশালা সড়কে রশিদের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলিতে তার বাড়ির তৃতীয় তলার একটি কাচ ভেঙে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার সময় রশিদ খাজানগর এলাকায় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি। সদর উপজেলার খাজানগর এলাকায় তার বড় কয়েকটি চালকল আছে। 

রশিদ জানান, একটি পশুর হাটের ইজারার দরপত্র কেনার পর থেকে চরমপন্থী সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে দরপত্র জমা না দিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। কয়েক দিন আগে প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় হাটের ইজারা পান আব্দুর রশিদের ভাতিজা জিহাদুজ্জামান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চরমপন্থী নেতা স্বপন ঠাকুর পরিচয় দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। ইজারা প্রত্যাহার করে না নিলে ওই ব্যক্তি হত্যার হুমকি দেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর র এল ক ঘটন য় র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ষবরণ ও চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজন রবীন্দ্রসরোবরে

সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণের দুটি অনুষ্ঠানই হবে এবার ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে। গতকাল শনিবার বিকেলে রবীন্দ্রসরোবরে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীদের জন্য কয়েক ধাপে মঞ্চ তৈরি করছেন শ্রমিকেরা। বাঁশ, কাঠ, কাপড়ে তৈরি হচ্ছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণের মঞ্চ। গত বছর এই আয়োজন হয়েছিল চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে।

এবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘ইস্পাহানি চ্যানেল আই-সুরের ধারার বর্ষবরণ ১৪৩২’ শিরোনামে। ২০১২ সাল থেকে এ আয়োজন ‘সুরের ধারা চ্যানেল আই হাজার কণ্ঠে বর্ষবরণ’ শিরোনামে আয়োজিত হয়ে আসছিল।

সুরের ধারার ভাইস চেয়ারম্যান ও শিক্ষক স্বাতী সরকার প্রথম আলোকে গতকাল জানিয়েছেন, এবারের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে সুরের ধারার শিল্পীসহ সারা দেশের প্রায় সাড়ে তিন শ শিল্পী অংশ নেবেন। তিনি বলেন, ভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর শিল্পীরাও সংগীত পরিবেশন করবেন এবারের আয়োজনে। রাঙামাটির ১২ জন শিল্পী অংশ নেবেন পরিবেশনায়।

বর্ষবিদায় বা চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন আড়াই শ শিল্পী। আয়োজনটি সার্বিকভাবে সুরের ধারার। সুরের ধারার এবারের বর্ষবিদায়ের প্রতিপাদ্য ‘স্বদেশ’।

সুরের ধারার শিক্ষক ও আয়োজনের সহকারী কেশব সরকার প্রথম আলোকে বলেন, এবারের আয়োজনে সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণ দুটো অনুষ্ঠানই আগের মতো সরাসরি সম্প্রচারের কথা রয়েছে চ্যানেল আইয়ের। বর্ষবরণের আয়োজনে থাকছে পঞ্চকবির গান।

বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায়ের আয়োজনের মহড়া ঈদের আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানালেন সুরের ধারার শিক্ষকেরা। বাংলা নতুন বছর ১৪৩২-এর প্রথম দিন সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত বর্ষবরণের অনুষ্ঠান চলবে। এর আগের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে চৈত্রসংক্রান্তি বা বাংলা বছরকে বিদায়ের অনুষ্ঠান। বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার উদ্যোগে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সংগীতচর্চা প্রতিষ্ঠান সুরের ধারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ