জেলা বিএনপির নির্দেশ অমান্য ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে রাজশাহীর তানোর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

গত বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জেলা বিএনপির নির্দেশ অমান্য ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে তানোর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সকল কার্যক্রম কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহোদয়ের নির্দেশে স্থগিত করা হলো।’

দলীয় সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত মার্চ মাসে ১৬ দিনের ব্যবধানে দুটি সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় দলটির নেতা–কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে তানোরে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত এল।

তানোর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হান্নান বলেন, আহ্বায়ক কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার ব্যাপারে কোনো চিঠি পাননি। তবে তিনি বিষয়টি শুনেছেন।

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে মূলত তানোর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। দুটি সংঘর্ষে দুটি খুন ছাড়াও আরও অনেক কারণ রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।

শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।

মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ