চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সরকারি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ও খালপাড় দখল নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের বহরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ওই ব্যক্তির নাম বশির প্রধানীয়া। তার বাড়ি বহরী গ্রামে।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বহরী গ্রামের কৃষক বশির প্রধানীয়া ও রমিজ উদ্দিন বয়াতীর মধ্যে খালপাড়ের দখল ও খালের মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে ইতিপূর্বে ওই দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার তর্ক-বিতর্ক ও মারামারির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকেলে ওই খালের পাড়ে এ নিয়ে বশির ও রমিজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে সরকারি খালে মাছ ধরতে যান বশির প্রধানীয়া ও তার দুই ছেলে। এতে বাধা দেন রমিজ উদ্দিন ও তার লোকেরা। এ নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এসময় রমিজ উদ্দিনের লাঠির আঘাতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন বশির। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হন বিল্লাল হোসেন ও মো.

জয়নাল। 

বশির প্রধানীয়ার মেয়ে তাহমিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, খালপাড় দখল ও সেখানে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে তার বাবা ও ভাইদের বেধড়ক পিটিয়েছেন রমিজ উদ্দিন ও তার লোকজন। তাদের লাঠির আঘাতে আমার বাবা মারা গেছেন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

এ বিষয়ে রমিজ উদ্দিন বয়াতীর মোবাইলে ফোন দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মেদ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাবরা হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই ব্যক্তির নাম ফরিদ মোল্যা (৫০)। তিনি কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত সুরত মোল্যার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফরিদ মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাঞ্চনপুর গ্রামে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ওই এলাকার মিলন মোল্যা, আরেকটি পক্ষ চালান আফতাব মোল্যা। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মিলনের অনুসারী সানোয়ার নামের এক সমর্থকের ওপর হামলা করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় আফতাব মোল্যার বাড়িতে হামলা চালান মিলনের লোকজন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে আফতাবের পক্ষের ফরিদের অবস্থা ছিল গুরুতর। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কিছু সময় পর তাঁর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় দুটি পক্ষের সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এখনো সংখ্যা জানা যায়নি। এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজার জন্য সমব্যথী নারী
  • তৃণমূলের একজন কর্মীকেও হারাতে দেয়া যাবে না : রিয়াদ চৌধুরী
  • শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
  • কক্সবাজারের মেয়েটি
  • নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত
  • চাঁদপুরে ১০ দোকানে আগুন
  • মতলবের মুন্সীরহাটে ফের আগুন, পুড়ে ছাই ১৮ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
  • বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে গেল রিমা
  • চাঁদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক নিহত, প্রতিবেশী গ্রেপ্তার