মধুতে চিনি মেশানোয় মৌচাষীকে জরিমানা
Published: 10th, April 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বক্স পদ্ধতিতে চাষ করা মধুতে চিনি ব্যবহারের অভিযোগে এক মৌচাষীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ সরদার বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম আব্দুলল্লাহ আল রিফাত।
নির্বাহী হাকিম রিফাত বলেন, বক্স পদ্ধতিতে মধু চাষে অবৈধভাবে চিনি ব্যবহার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরদার বাড়ি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মৌচাষী গোলাম মোস্তফা সরদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাকে এ জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বন বিভাগের প্রতিনিধি ও শ্যামনগর থানার পুলিশ সদস্যরা আদালতকে সহায়তা করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৫২ বছর বয়সে দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছেন ইউপি সদস্য
৫২ বছর বয়সে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলু। তিনি প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি লাভের পর ১৯৯০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় দিতে হলে বসেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হয়ে বহিষ্কার হন তিনি। এরপর বন্ধ হয়ে যায় তার পড়ালেখা।
অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ইউপি সদস্য দুলু। এরপর স্থানীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আবারও পড়ালেখা করার মনোবল ফিরে পান। অবশেষে চলতি দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলু। তার এমন ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানিয়ে তার সাফল্য কামনা করেছেন জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম রব্বানিসহ এলাকার সুধিজন।
দেলোয়ার হোসেন দুলু জানান, তার পরিবারের সবাই শিক্ষিত। শুধু তিনিই কম শিক্ষিত হওয়ায় প্রতিনিয়তই কষ্ট পেতেন। ২০২১ সালে বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ নম্বর করমদোশী ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি নতুন করে লেখাপড়া করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি পার্শ্ববর্তী রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার উমরগাড়ী দারুল খায়ের দ্বি-মুখি দাখিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেই সূত্র ধরে তিনি এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি ভালো ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৫ সালে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক বৃত্তি এবং ১৯৮৮ সালে জামনগর দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৯০ সালে বাগাতিপাড়া কেন্দ্রে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে বহিষ্কার করেন।
তিনি অল্পশিক্ষিত হয়েও মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলও নতুন করে স্বপ্ন দেখে তার বাস্তবে রূপ দিতেই শেষ বয়সে এসে তিনি নাতি-নাতনিদের সঙ্গে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষায় তিনি ভালো ফলাফল করবেন বলে আশা করছেন। তিনি সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন।