স্ত্রীকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন পোস্ট
Published: 10th, April 2025 GMT
নিজের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ পোস্ট দেন তিনি। নিজের ও স্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন মির্জা ফখরুল।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে মির্জা ফখরুলের স্ত্রীর গুরুতর একটি রোগ শনাক্ত হয়। ওই বছর ১০ ডিসেম্বর তার অস্ত্রোপচারের নির্ধারিত দিন ছিল। এর দুই দিন আগে মধ্যরাতে বাসা থেকে আটক হওয়ার কথা স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল পোস্টে লেখেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন আমার স্ত্রীর অসুখ ধরা পড়ে, তখন আমার পৃথিবীটা এক মুহূর্তে থেমে গিয়েছিল। তিনি আমাদের পরিবারের মূল স্তম্ভ বা ভরসা। এই পরিস্থিতিতে আমি যত দ্রুত সম্ভব তার অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিই। তার অস্ত্রোপচারের আগের দিন রাত তিনটায় আমাকে আমার নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আওয়ামী পুলিশ। আমার মেয়ে ঢাকায় ছুটে আসে। যখন আমার স্ত্রীর শরীরে অস্ত্রোপচার চলছিল, তখন আমি ছিলাম কারাগারে। আমার কন্যারা এবং চিকিৎসক জাহিদ (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন) ছাড়া আর কেউ তখন হাসপাতালে ছিলেন না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) ও আমার ভাইবোনেরা ফোনে খোঁজখবর রাখছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব আরো লেখেন, আমার স্ত্রী সবকিছু অসীম ধৈর্য ও হাসিমুখে মোকাবিলা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলা জটিল চিকিৎসার বিষয়টিই শুধু সহ্য করেননি, একই সঙ্গে প্রায় ৫০ বছর ধরে আমাদের পারিবারিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আজ (১০ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরে তার চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো দেখা যাচ্ছে। তবে ছয় মাস পর আমাদের আবার যেতে হবে। আপনাদের দোয়া ও শুভকামনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
৩২ দিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে গত ৬ এপ্রিল স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন বিএনপির মহাসচিব।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব এনপ আম দ র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে যুবককে গুলি, আটক ২
লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে রুবেল হোসেন নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। গুলিটি তার বাম হাতের কব্জিতে লেগেছে। এ ঘটনায় আজাদ হোসেন বাবলু ও আলমগীর হোসেন রাব্বি নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পূর্ব চৌপল্লী গ্রামের বেপারি বাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে ছাত্রদল নেতাসহ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর, মালামাল লুট
জামিন: জেল গেটে হামলার শিকার সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ
আহত রুবেল পূর্ব চৌপল্লী গ্রামের বেপারি বাড়ির আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার, মাদক কারবার নিয়ে রুবেল ও কদু আলমগীরের মধ্যে বিরোধ চলছে। দুইজনই পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত শুক্রবার বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে রুবেলকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠান।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় রুবেল জানান, চৌপল্লী বাজার থেকে তিনি বাড়ি যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থল পৌঁছলে পেছন থেকে তাকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার বাম হাতের কব্জিতে বিদ্ধ হয়। কে বা কারা গুলি করেছে তিনি তা দেখেননি। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
তিনি বলেন, “অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কদু আলমগীর আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে। এলাকায় থাকতে হলে টাকা দিতে হবে, তা না হলে আমাকে হত্যা করবে বলেও হুমকি দিয়েছে। কয়েকবার বাড়িতে লোকজন পাঠিয়ে আমাকে হুমকি দিয়েছে।”
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, “বাম হাতের কব্জিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একব্যক্তি হাসপাতালে আসেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক ব্যবসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এর জেরে রুবেলকে গুলি করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন বলেন, “গুলিবিদ্ধের ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ