আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা হলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে : মাও. মঈনুদ্দিন
Published: 10th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামী উত্তর থানা ১১ নং ওয়ার্ডের উদ্যােগে ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকালে তল্লা রেললাইন এলাকায় ঈদ পূর্নমিলনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ।
এসময় তিনি বলেন ফিলিস্তিনে গাযায় যে বর্বরতা হচ্ছে, তা একমাত্র নামাজ, রোজা, ইসলামী হুকুমত পালন করার কারনে ইসরাইলি ইহুদিরা চায় পৃথিবী থেকে ইসলামকে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য।
আমরা দুইশত কোটি মুসলিম যদি একত্রিত হই তারা একদিনও পৃথিবীতে বাচতে পারবেনা। তাই দেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ থাকবে নিরপরাধ ফিলিস্তিনের শিশুদের, মায়েদের দিকে তাকিয়ে চিকিৎসা সেবা ও প্রতিবাদ গড়ে তোলেন।
আমরা আমাদের ভাইদের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন ফ্যাসিস্টদের দোসররা সমাজের রন্ধে রন্ধে ঘাপটি মেরে বসে আছে, সঠিক ভাবে সংস্কার করতে না পারলে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা চালাবে দোসররা।
এসময় সকলের উদ্যেশে বলেন দেশে পূর্নাঙ্গ শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন বাস্তবায়ন করতে হবে তাহলে সমাজে শান্তি ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
১১ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে মো এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, কর্ম পরিষদের সদস্য মো ফরিদ আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ উত্তর থানা আমীর আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারি আব্দুর রহিম, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ পোখন মিয়া, ১১ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম খোকন সহ স্থানীয় জামায়াতে নেতৃবৃন্দ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাবাকে হাত-পা বেঁধে মাথায় গরম পানি ঢালার অভিযোগ সন্তানদের বিরুদ্ধে
লাকসামে বাবার সম্পত্তি সন্তানদের নামে লিখে না দেওয়ার জন্য বাবাকে হাত-পা বেঁধে গরম পানি মাথায় ঢেলে দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে সন্তানদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাকসাম পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের গোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার এ ঘটনার ১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, গোপালপুর গ্রামের বাড়ির উঠানে বৃদ্ধ বাবার হাত ধরে করছে টানাহেঁচড়া করছেন তার সন্তানরা। এসময় তারা বাবার গায়ের গেঞ্জিটাও টানতে টানতে ছিঁড়ে ফেলেন। বাবাকে টেনেহিঁচড়ে জবরদস্তি করে তাকে হাত পা বাঁধা হয়, এরপর গরম পানি বাবার মাথা ও মুখে ঢালেন তারই সন্তানেরা। এসময় ওই বৃদ্ধ বাবার আত্নচিৎকার করে বলেন ‘ও আল্লাহ রে, ও আল্লাহ, ও মা গো মা, ও ভাইরে ভাই, ও জসিমের মারে..., জসিমের মা আমারে বাঁচান, কে কোথায় আছেন- আমাকে বাঁচান, আমাকে মাইরা ফেলছে তারা...’। ওই নির্যাতন দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ওই বাবার নাম আবদুল জলিল (৬০)। আর নির্যাতনকারীরা তার ছেলে, মেয়ে ও তার স্ত্রী। তারা হলেন- ছেলে শান্ত (২৮), নোমান (২০), রকি (১৬), মেয়ে নাজমিন (২৬), নুপুর (১৩) ও জলিলের স্ত্রী রিনা আক্তার (৪৫)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী আবদুল জলিল বাদী হয়ে সন্তান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, গোপালপুর গ্রামের মৃত হাজী ওয়ালীউল্লার ছেলে আবদুল জলিলের নামে বসতবাড়ি ও মাঠে ১২০ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। জলিলের স্ত্রীসহ তিন ছেলে ২ মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে শান্ত প্রবাসে থাকেন, সে প্রবাস থেকে ওই সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় আবদুল জলিলকে হুমকি দেয় এবং বাড়িতে থাকা জলিলের অন্য সন্তানরা তাকে মারধর করেন। এছাড়া বাবাকে ভরণপোষণও দিচ্ছিলেন না তারা। এ নিয়েই সন্তান ও স্ত্রী সঙ্গে জলিলের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় অনেক বার সামজিকভাবে শালিসও হয়েছে।
প্রতিবেশিরা বলছেন, বৃহস্পতিবার জলিলের সঙ্গে তার স্ত্রী-সন্তানদের কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় জলিল ঘরের দরজা জানালা ভাঙচুরের চেষ্টা চালাতে গেলে তার ছেলে মেয়েরা বাবার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাণ্ড চালায়।
নির্যাতনের শিকার আবদুল জলিল জানান, অনেক দিন ধরে আমার সন্তানরা সম্পত্তি নেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিচ্ছে। আমার স্ত্রী রিনা আক্তার এর প্রতিবাদও করে না। আমাকে তারা ভরণপোষণও দেয় না। ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে ঝামেলা করে। ওই দিন আমার সন্তানরা বাড়ির উঠানের মধ্যে আমাকে হাত-পা বেঁধে অনেক মেরেছে। হাত-পায়ে শরীরে এখনও দাগ আছে।
লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা শুক্রবার রাতে সমকালকে বলেন, নির্যাতনের ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। পারিবারিক কলহ থেকে এ ঘটনা। এ ঘটনায় নির্যাতিত আবদুল জলিল থানায় স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তবে পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে অভিযোগটি আবার প্রত্যাহার করেছেন।
ওসি বলেন, এলাকায় বিষয়টি সামাজিকভাবে বিরোধ নিরসন ছাড়াও পরিবার নিয়ে থানায় এসেছেন। স্ত্রী ও সন্তানরাও বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত।