অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুনামগঞ্জের এলজিইডির প্রকৌশলীকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “কোথায় ঘুমাইতেছেন? জানেন না যে আমরা আসব এখানে? ও আচ্ছা, আপনি খোঁজও রাখেন না! আপনার রাবার ড্যামে লিক হয়ে গেছে। রিপেয়ার করতে কয়দিন লাগবো? শুনেন, নাইলে কিন্তু আপনারেই রিপেয়ার কইরা দেব। বুঝতে পারছেন? পয়সা খাইবেন, পকেটে ঢুকাইবেন, খালি কাম করবেন না!”

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় হাওরে বোরো ধান কাটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি প্রকৌশলীর মোবাইলে ফোন করে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টার কলের উত্তরে হয়তো ফোনের ওপার থেকে জবাব দিয়েছেন ‘স্যার আমি পয়সা খাই না।’ তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “না পয়সা খান না, আপনার নাম আর নম্বর সব আমারে দেন। ওই রাবার ড্যামের কাজ আপনি সাত দিনের মধ্যে শেষ করবেন।”

জানা গেছে, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার করচার হাওরের গজারিয়া রাবার ড্যামে ছিদ্র দেখা দেওয়ার পরও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় দেখার হাওরে বোরো ধান কাটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যান কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

সেসময় কৃষকরা উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ জানান যে, করচার হাওরে গজারিয়া রাবার ড্যামে ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকছে। অনুষ্ঠানে এলজিইডি সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন অনুপস্থিত ছিলেন।

সেসময় প্রকাশ্যে ক্ষুব্ধ হয়ে সরাসরি প্রকৌশলীকে ফোন দেন উপদেষ্টা। প্রকৌশলীর সাথে কথা বলা শেষে উপস্থিত সিলেট বিভাগীয় কমিশনারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজা-উন-নবী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ, সিলেট অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম প্রমুখ। 

আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসী, হাওরের কৃষক, সাংবাদিক ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা।

ঢাকা/মনোয়ার/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ উপস থ ত উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ষবরণ ও চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজন রবীন্দ্রসরোবরে

সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণের দুটি অনুষ্ঠানই হবে এবার ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে। গতকাল শনিবার বিকেলে রবীন্দ্রসরোবরে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীদের জন্য কয়েক ধাপে মঞ্চ তৈরি করছেন শ্রমিকেরা। বাঁশ, কাঠ, কাপড়ে তৈরি হচ্ছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণের মঞ্চ। গত বছর এই আয়োজন হয়েছিল চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে।

এবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘ইস্পাহানি চ্যানেল আই-সুরের ধারার বর্ষবরণ ১৪৩২’ শিরোনামে। ২০১২ সাল থেকে এ আয়োজন ‘সুরের ধারা চ্যানেল আই হাজার কণ্ঠে বর্ষবরণ’ শিরোনামে আয়োজিত হয়ে আসছিল।

সুরের ধারার ভাইস চেয়ারম্যান ও শিক্ষক স্বাতী সরকার প্রথম আলোকে গতকাল জানিয়েছেন, এবারের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে সুরের ধারার শিল্পীসহ সারা দেশের প্রায় সাড়ে তিন শ শিল্পী অংশ নেবেন। তিনি বলেন, ভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর শিল্পীরাও সংগীত পরিবেশন করবেন এবারের আয়োজনে। রাঙামাটির ১২ জন শিল্পী অংশ নেবেন পরিবেশনায়।

বর্ষবিদায় বা চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন আড়াই শ শিল্পী। আয়োজনটি সার্বিকভাবে সুরের ধারার। সুরের ধারার এবারের বর্ষবিদায়ের প্রতিপাদ্য ‘স্বদেশ’।

সুরের ধারার শিক্ষক ও আয়োজনের সহকারী কেশব সরকার প্রথম আলোকে বলেন, এবারের আয়োজনে সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণ দুটো অনুষ্ঠানই আগের মতো সরাসরি সম্প্রচারের কথা রয়েছে চ্যানেল আইয়ের। বর্ষবরণের আয়োজনে থাকছে পঞ্চকবির গান।

বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায়ের আয়োজনের মহড়া ঈদের আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানালেন সুরের ধারার শিক্ষকেরা। বাংলা নতুন বছর ১৪৩২-এর প্রথম দিন সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত বর্ষবরণের অনুষ্ঠান চলবে। এর আগের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে চৈত্রসংক্রান্তি বা বাংলা বছরকে বিদায়ের অনুষ্ঠান। বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার উদ্যোগে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সংগীতচর্চা প্রতিষ্ঠান সুরের ধারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ